ভারতের সিদ্ধান্তের পরেই সুর নরম ব্রিটেনের ছবি: রয়টার্স।
ব্রিটিশ নাগরিকদের ভারতে আসার ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। নিভৃতবাস, করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের আর এই সিদ্ধান্তের পরেই ভারতীয় নাগরিকদের ব্রিটেনে যাওয়ার বিষয়ে সুর নরম করল সে দেশের সরকার। তারা জানিয়েছে, ভারতীয়দের যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কতটা শিথিল করা যায় সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।
শুক্রবার নয়াদিল্লি জানায়, ভারতে আসা ব্রিটিশ নাগরিকদের যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি, তাঁরা আসার পর বিমানবন্দরে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। এর পর ১০ দিন থাকতে হবে নিভৃতবাসে। ভারতে পা রাখার অষ্টম দিনের মাথায় আরও একটি করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এই নিয়ম আগামী ৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হবে। নিয়মের আওতায় পড়বেন ব্রিটেনের সমস্ত নাগরিক। দু’টি টিকা নেওয়া থাকলেও এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
এই সিদ্ধান্তের পরেই সুর বদল ব্রিটেনের। ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘মানুষের জীবনের সুরক্ষা আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই যে দেশ থেকেই নাগরিকরা আসবেন, তাঁদের কয়েকটি নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে। আগামী দিনে কী পদক্ষেপ করা হবে সেই বিষয়ে আমরা ক্রমাগত অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করছি। তার মধ্যে ভারতও রয়েছে। কারও আসতে যাতে সমস্যা না হয় সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’’
এখনও পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকার যে ১৮টি দেশের নাগরিককে কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই ব্রিটেনে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে তার মধ্যে ভারত নেই। ভারত থেকে কেউ সেখানে গেলে তাঁদের অনেক নিয়ম মানতে হচ্ছে। ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে নয়াদিল্লি। বলা হয়, যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্রিটেনে দেওয়া হচ্ছে তারাই কোভিশিল্ডের টিকা তৈরি করেছে। তা হলে ভারতীয়দের জন্য এত বিধিনিষেধ কেন। তার পরেও কোনও কাজ না হওয়ায় ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য কড়া পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। কেন্দ্রে এই ‘ইটের বদলে পাটকেল’ নীতিতেই ফল মিলল।