—প্রতীকী ছবি।
হরিয়ানার গুরুগ্রামে নিজের বাড়িতেই বাবার লালসার শিকার মেয়ে। ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে তার ৩৯ বছরের বাবা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
গত ২০ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু থানায় অভিযোগ জমা পড়ে চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুগ্রামের ডিএলএফ-৩ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা। তিনি জানান, ডিএলএফ-৩ এলাকার পালওয়ালে ভাড়া বাড়িতে বাস তাঁদের। স্বামী গাড়ি চালায়। পরিচারিকার কাজ করেন তিনি। ১৯ এপ্রিল রাতে স্বামী মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরলে দুজনের মধ্যে বচসা বাধে। সেইসময় তাঁর মাথায় বোতল দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্ত। তার পর ছাদে উঠে যায়। মেয়েকে খাবার দিতে বলে। পর দিন সকাল হলে বাবার কুকর্মের কথা তাঁকে জানায় মেয়ে।
মেয়ের কাছ থেকে সব জানতে পেরে স্বামীর মুখোমুখি হন নির্যাতিতার মা। কিন্তু বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। বারবার ফোন করলেও ধরেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার ফোন তোলে। কিন্তু অনুতপ্ত হওয়ার বদলে হুমকি দিতে শুরু করে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ফের মেয়েকে ধর্ষণ করতে পিছপা হবে না বলে জানায়। তাতেই থানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: গোয়ার হোটেলে উদ্ধার তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ, নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না প্রেমিকের
আরও পড়ুন: বেগুসরাইয়ে ভোট জমিয়েছেন কানহাইয়া আর তনভীর, যদিও নিশ্চিত জয়ের অঙ্ক দেখছে বিজেপি
অভিযোগ পেয়ে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার বয়ানের উপর ভর করেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য। সেখানে ধর্ষণের কথা নিশ্চিত করেন চিকিত্সকরা।
শুক্রবার মেয়েটিকে নগর আদালতে তোলা হয় বলেও জানান ডিএলএফ-৩ থানার প্রধান রামকুমার। অপরাধ আইনের ১৬৪ ধারায় সেখানে বয়ান রেকর্ড করে ওই কিশোরী। বাবাই তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।