সেই টুপি। ছবি: নেট মাধ্যম
‘টুপির আমি, টুপির তুমি, টুপি দিয়ে যায় চেনা।’
কংগ্রেসের গান্ধী টুপি প্রায় অতীত। বর্ষীয়ান নেতা ছাড়া কাউকেই এখন আর গান্ধী টুপি পরতে দেখা যায় না। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে টুপি পরার সংস্কৃতি এখনও কিছুটা হলেও চালু রেখেছে অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি। যাদের টুপির রং লাল। আর অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। সাদা ওই টুপির এক দিকে ঝাড়ু ও অন্য দিকে লেখা আপ। যে টুপি প্রবল জনপ্রিয় দলীয় নেতা-কর্মীর মধ্যে। এ বার সেই টুপি সংস্কৃতি বিজেপিতেও।
দলের রঙ গেরুয়া। টুপিরও তাই। তাতে উত্তরাখণ্ডে দেখা মেলে ব্রহ্ম কমল বা দলীয় প্রতীক পদ্মের ছবি এবং টুপির সামনে লেখা ইংরেজি বা দেবনগরীতে বিজেপি শব্দ লেখা। এমন প্রায় চারশো টুপি আজ সংসদীয় দলের বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের বিতরণ করা হয়। সম্প্রতি চার রাজ্যে জয়ের পরে গুজরাত সফরে গিয়ে ওই টুপি পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরেই দল সিদ্ধান্ত নেয়, দলীয় কর্মীদের একাত্ম করতে প্রথমে সব সাংসদদের, তার পরে রাজ্য স্তরে বিধায়ক ও নেতা-কর্মীদের ওই টুপি বিতরণ করা হবে। আগামিকাল বিজেপির ৪২তম প্রতিষ্ঠা দিবস। কাল থেকে আগামী দু’সপ্তাহ দেশ জুড়ে নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দল। সেই অনুষ্ঠানগুলিতে দলীয় কর্মীদের ওই ধরনের টুপি পরে জনতার কাছে যেতে উৎসাহ দিয়েছে দল। মূলত কর্মীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, একাত্মতা বাড়াতেই ওই সিদ্ধান্ত। আজ দলের নেতা অরুণ সিংহ এ প্রসঙ্গে জানান, ‘‘দলীয় কর্মীদের ব্যবহারের জন্য অঙ্গবস্ত্র, পাট্টা রয়েছে। এ বার পরবর্তী ধাপে টুপি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে আমদাবাদের রোড শো-র আগেও ওই টুপি পরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসেই প্রধানমন্ত্রীর মাথায় দেখা গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের প্রথাগত এই টুপিটি। বিজেপি সূত্রে খবর, এই টুপি পরার প্রথা প্রথম চালু করে গুজরাতের বিজেপি সংগঠন। তার পরেই সারা দেশের সাংসদ ও নেতা-কর্মীদের জন্য তা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ সংসদীয় দলের বৈঠকে টুপি ছাড়াও সাংসদদের ‘এনার্জি বুস্টার’ নামে বিশেষ ভাবে তৈরি এনার্জি বারও বিতরণ করা হয়েছে। যার মোড়কেও হাসিমুখে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি। দল বলছে, বিজেপি সাংসদেরা যাতে আরও ‘উৎসাহ ও উদ্দীপনার’ সঙ্গে কাজ করেন, সে জন্যই ওই প্রয়াস।