India

বিবাদ এড়িয়ে বৈঠকে বসল ভারত-নেপাল

তেলের পাইপলাইন নির্মাণ, সুসংহত চেক পোস্ট ছাড়াও ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালের দু’টি জেলায় ঘর পুণর্নিমাণের কাজ কী ভাবে এগোচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ০৬:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

মানচিত্র-সড়ক ও রামের প্রকৃত জন্মভূমি ঘিরে বিবাদকে পাশে সরিয়ে বৈঠকে বসল ভারত ও নেপাল। ভারতের সাহায্যে নেপালে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের যে কাজ চলছে তার অগ্রগতি নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, তেলের পাইপলাইন নির্মাণ, সুসংহত চেক পোস্ট ছাড়াও ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালের দু’টি জেলায় ঘর পুণর্নিমাণের কাজ কী ভাবে এগোচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাম্প্রতিক বিবাদের আবহে একে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকেরা। নেপালের বিদেশসচিব শঙ্করদাস বৈরাগীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাঠমাণ্ডুতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয়মোহন কাওয়াত্রা। আজকের বৈঠকে বিহারের মোতিহারি থেকে নেপালের অমলেখগঞ্জ পর্যন্ত তেলের পাইপলাইন নির্মাণ, বিরাটনগর সীমান্তে সুসংহত চেক পোস্ট তৈরির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েক বছর আগে আসা ভূমিকম্পে গোর্খা ও নুওয়াকোট
জেলার ৪৬,৩০১টি বাড়ি পুণর্নিমাণের কাজ কী অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে দু’দেশের মধ্যে সংযোগকারী সড়ক, রেললাইন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়েও।

নেপালের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বৈঠকে পঞ্চেশ্বর মাল্টিপারপাস প্রকল্প, জলসেচ, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, নেপাল পুলিশ অ্যাকাডেমি গড়া, পর্যটনে উৎসাহ দিতে রামায়ণ সার্কিট নির্মাণ, মহাকালি নদীর উপরে সেতু বানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। করোনা অতিমারির সময়ে ভারত যে ভাবে নেপালকে ওষুধ ও চিকিৎসা যন্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে, তার প্রশংসা করেছে কেপি শর্মা ওলির সরকার। কূটনীতিকদের আশা, দু’দেশের সম্পর্কে যে শীতলতা তৈরি হয়েছিল, আজকের বৈঠকের পরে তা কিছুটা হলেও কাটতে চলেছে।

Advertisement

ভারত ও নেপালের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত গত মে মাসে। ৮ মে উত্তরাখণ্ডের ধারচুলা থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত সংযোগকারী একটি রাস্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ উদ্বোধন করার পর এলাকাটি তাদের বলে দাবি করে বসে নেপাল। ভারতীয় এলাকা কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের মানচিত্রে জুড়ে সে দেশে বিল পাশ করান প্রধানমন্ত্রী ওলি। দীর্ঘ দিনের বন্ধু নেপালের ভারত বিরোধিতার পিছনে চিনের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পর বিতর্ক চরমে ওঠে যখন রাম মন্দির উদ্বোধনের ঠিক আগে রাম অযোধ্যায় নন, নেপালে জন্মেছিলেন বলে দাবি করেন ওলি। গোড়া থেকেই এ নিয়ে নীরব থাকার কৌশল নেয় ভারত। দু’পক্ষের সম্পর্কের বরফ গলার প্রথম ইঙ্গিত আসে স্বাধীনতা দিবসের দিন। ওলি সে দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান। সাউথ ব্লক সূত্রের মতে, তার পরেই দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলির অগ্রগতি খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত মূল্যায়ন কমিটির (ওএসএম) বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত হয়। আজ ছিল ওই কমিটির অষ্টম বৈঠক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement