সাফারির গাড়ির পর্দা ধরে টানছে বাঘ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
জঙ্গলে তাঁদের সামনা সামনি হওয়ার সাহস পায় না কোনও প্রাণীই, তারাই রাজত্ব করে সেখানে। সেই বাঘের সঙ্গে নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে চাকরি গেল দুই বনকর্মীর। ছত্তীসগড়ে রায়পুরের নন্দনবন জঙ্গল সাফারির ঘটনা। সম্প্রতি ওই সাফারির একাধিক ভিডিয়ো সামনে আসে। তারপরই পদক্ষেপ করেন আধিকারিকরা।
ভিডিয়োগুলিতে দেখা যাচ্ছে একটি গাড়ির পিছনের প্লাস্টিকের পর্দার ধরে রেখেছে বাঘটি, রীতিমতো টানাটানি করে যাচ্ছে। যেন পর্দাটি ছিঁড়ে নিয়ে যেতে চাইছে। আর সেই ঘটনা গাড়ির উপর থেকে কেউ একজন ক্যামেরাবন্দি করছেন। বার বার পর্দাটি ছেড়ে দিতে বলছেন তিনি।
বাঘটির নাম ‘কানহা’। ওই নামে সম্বোধন করে বার বার পর্দা ছেড়ে ফিরে যেতে বলছেন কেউ তাঁকে। কিন্তু বাঘটি পর্দা ছাড়তে রাজি নয়। বার কয়েক গাড়িটিকে একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়, যাতে বাঘটি পর্দাটি ছেড়ে দেয়, কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয় না।
আরও পড়ুন: বাঘকেও ঘোল খাইয়ে দিল এই পানকৌড়ি! দেখুন কী ভাবে
একটি ভিডিয়োটি অভিনেতা রণদীপ হুডা পোস্ট করেছেন টুইটারে। তিনি ভিডিয়োটি কোথায় পেয়েছেন সে সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেননি। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরই দুই বনকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই দুই কর্মী হলেন, সাফারি পার্কের ওই গাড়ির চালক ও গাড়ির গাইড। তিনিই সম্ভবত ভিডিয়োটি রেকর্ড করছিলেন। এছাড়া আরও একটি ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: মেঘ না আগুন ছড়ানো ভিনগ্রহের যান! আমেরিকার আকাশে অদ্ভুত দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি
সাফারির নিয়ম হল, সব সময় চেষ্টা করতে হবে মানুষ ও বাঘের মধ্যে যেন নিরাপদ দূরত্ব থাকে। যদি বাঘ গাড়ির দিকে এগিয়ে আসে, তবে গাড়ির গতি বাড়িয়ে সেখান থেকে সরে যেতে হবে। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে গত শুক্রবার ওই সাফারির এক পর্যটক বাঘটিকে এগিয়ে আসতে দেখে গাড়ি থামাতে বলেন। আর সেই কথা শুনে ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে দেন। বাঘটি প্লাস্টিকের পর্দাটি কামড়ে ধরে ফেলে। ড্রাইভার ও গাইডের এই নিয়ম ভঙ্গের ফলে আহত পারত বাঘটি।
দেখুন সেই ভিডিয়োগুলি:
নন্দনবন জঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর এম মার্সি বেলা জানিয়েছেন, ড্রাইভার ওমপ্রকাশ ভারতী ও গাইড নবীন পুর্নিয়া-র বিরুদ্ধে আইন মেনে পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাফারির গাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বনরক্ষী কর্মীদের প্রধানকেও কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে এমন ঘটনা যে ভবিষ্যতে না হয়।