গেটে বসে রয়েছেন বন্ধুকধারী নিরাপত্তারক্ষীরা। গোটা চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছে কাঁটাতার দিয়ে। ছাত্রীদের প্রবেশ আটকাতে আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এমনই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে তালিবান সরকার। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করা হচ্ছে।
গত ২০ ডিসেম্বর তালিবান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছিল, এ বার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মহিলারা ঢুকতে পারবেন না। তার পর থেকেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদে নামেন ছাত্রীরা। তালিবানের এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ছাত্র, শিক্ষক এবং অধ্যাপকরাও। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গেটের সামনে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে চলে না যায়, তাই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে তালিবান।
একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিবান সরকারের এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আওয়াজ তুলেছেন ছাত্ররাও। তাঁরা একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বয়কট করেছেন। ছাত্র এবং শিক্ষকদের দাবি, যে ভাবে ছাত্রীদের শিক্ষার অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তা বরদাস্ত করা হবে না। নারীদের শিক্ষার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
পূর্বতন আফগান সরকারের এক প্রাক্তন আধিকারিক শবনম নাসিমি বোরখা পরা এক ছাত্রীর ছবি টুইট করেছেন। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সশস্ত্র রক্ষী এবং কাঁটাতারের বেড়ার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এই ছবি টুইট করে শবনম লেখেন, “এই ছবিও যদি মনকে আন্দোলিত না করে, তা হলে আর কিসে হবে! যদি তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার ঢোকার সুযোগ দেওয়া হয় তাই কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অনেক আশা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এই ছাত্রী।”
তালিবান সরকারের ফতোয়া জারির দিন কয়েক আগেই আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠে পা দেওয়ার আগেই, ছাত্রীদের উপর নেমে এসেছে তালিবানি ফতোয়া।