Taliban 2.0

Taliban: ঘাপটি মেরে নাগপুরে ১১ বছর, নেটমাধ্যমে তালিব-যোদ্ধার ছবি দেখে হতবাক পুলিশ

নুরের আসল নাম আব্দুল হক। ভারতে কম্বল বেচার ব্যবসা করতেন তিনি। বিয়ে-থা করেনননি। আগে থেকেই তালিবান গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁর ভাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাবুল শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২১ ১৭:৫৩
Share:

—ছবি সংগৃহীত।

১১ বছর ধরে নাগপুরে অবৈধ ভাবে বাস করছিলেন তিনি। ধরা পড়ার পর গত জুন মাসে তাঁকে আফগানিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে দেশে তালিবানি শাসন কায়েম হতেই হঠাৎ নেটমাধ্যমে ভেসে উঠেছে বছর তিরিশের নুর মহম্মদ আজিজ মহম্মদের ছবি। হাতে রাইফেল। টহল দিয়ে বেড়াচ্ছেন কাবুলের রাস্তায়। যা দেখে হতবাক নাগপুরের পুলিশ।
সূত্র মারফত খবরের ভিত্তিতে নুরের গতিবিধির উপর অনেক দিন ধরেই নজর ছিল পুলিশের। পুলিশ এ-ও জানত, দিঘোরি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে অবৈধ ভাবে আস্তানা গেড়েছেন তিনি। নুর কোথায় যান, কী করেন, নেটমাধ্যমে কাকে অনুসরণ করেন, কী শেয়ার করেন— দীর্ঘ দিন ধরে এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে হঠাৎ এক দিন তাঁকে পাকড়াও করেছিল নাগপুরের পুলিশ। তার পর গত ২৩ জুন তাঁকে আফগানিস্তানে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য, আফগানিস্তানে ফিরে গিয়েই তালিবান গোষ্ঠীতে নাম লেখান নুর।

Advertisement

আটক করার পর তদন্ত করে জানা যায়, ২০১০ সালে ৬ মাসের পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন নুর মহম্মদ। তাঁকে যাতে শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হয়, তার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের আবেদন করেছিলেন তিনি। যদিও তা খারিজ করা হয়। তার পর থেকেই নাগপুরে অবৈধ ভাবে থাকতে শুরু করেন তিনি, শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।

আরেক পুলিশ অফিসার জানান, নুরের আসল নাম আব্দুল হক। ভারতে কম্বল বেচার ব্যবসা করতেন তিনি। বিয়ে-থা করেনননি। আগে থেকেই তালিবান গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁর ভাই। একটি ধারালো অস্ত্র হাতে নুরের একটি ভিডিয়ো গত বছর ভাইরাল হয়েছিল নেটমাধ্যমে। আটক হওয়ার পর তাঁর ঘাড়ের বাঁ পাশে গুলির আঘাতের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। তাঁর নেটমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখা যায়, সন্ত্রাসবাদীদের অনুসরণ করতেন নুর। তাঁর প্রোফাইলেও গুলি ছোড়ার ভিডিয়ো ভর্তি।

Advertisement

তবে সেই সময়ে তাঁর ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়নি। তালিব-যোদ্ধা নুরের ছবি নেটমাধ্যমে দেখে এখন তাঁর ফোন রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement