আদিবাসী নেতাদের নিয়ে সর্বভারতীয় সম্মেলনের ডাক। — ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে আদিবাসী জনজাতির উপর ‘নিপীড়ণ’ ক্রমাগত বাড়ছে। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তাদের জমি, জীবন-জীবিকা! এই পরিস্থিতিতে কী উপায়ে আদিবাসী নেতাদের এক ছাতার তলায় এনে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করতেই সর্বভারতীয় কনভেনশনের ডাক দেওয়া হল। আগামী ২১ মে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে এই কনভেনশন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই কনভেনশনে যোগ দেওয়ার কথা আদিবাসী লেখক-সাংবাদিক তথা ঝাড়খণ্ড মহিলা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ভাসাভি কিরো, অল ইন্ডিয়া কিসান মজদুর সভার সভাপতি ভেমুলাপল্লি ভেঙ্কটরামাইয়ার।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা এবং মণিপুর মিলিয়ে অন্তত ৭৫০ জন আদিবাসী নেতা-কর্মীর সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা। যে দুই মূল দাবিকে সামনে রেখেই এই কনভেনশন, তা হল— উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের জীবন-জীবিকা কেড়ে নেওয়া চলবে না এবং বনসংরক্ষণ বিধি (২০২২) বাতিল করতে হবে।
এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আদিবাসী নেতাদের অভিযোগ, উন্নয়নের নামে তাঁদের জঙ্গল থেকে উৎখাত করা হচ্ছে। তাঁদের জমি কেড়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে শিল্পপতিদের হাতে। তাঁদের সংস্কৃতি এবং ভাষার উপর ক্রমাগত ‘আক্রমণ’ চলছে। এই কনভেনশনে যোগ দেওয়ার কথা পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী নেতা মানস হাঁসদার। তিনি বলেন, ‘‘বনসংরক্ষণ আইন, ২০০৬-এর আওতায় আমাদের কিছু অধিকার ছিল। ২০২২ সালে তা সংশোধন করে আমাদের সেই অধিকার কেড়ে নিচ্ছে সরকার। কৃষি আর জঙ্গল আদিবাসীদের মূল জীবিকা। সেটাই তাঁদের থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে দেশে বহু বাঁধ তৈরি হয়েছে। কিন্তু তা আমাদের জন্য নয়। শহরের মানুষের কথা ভেবে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তাই আমরা চাইছি দেশের সকল আদিবাসী নেতাদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে। আন্দোলন গড়ে তুলতে।’’