অধীররঞ্জন চৌধুরী ও পীযূষ গয়াল।
সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে লোকসভার দলনেতা নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটাতে আজ কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, ‘এখনই’ ওই পদে রদবদল হচ্ছে না। অধীররঞ্জন চৌধুরীই ‘বাদল অধিবেশনে’ লোকসভার দলনেতা থাকছেন। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা পদে বদল হবে কি না, তার পাশাপাশি বিজেপি শিবিরে জল্পনা চলছিল, রাজ্যসভায় তাদের দলনেতা তথা ‘লিডার অব দ্য হাউস’ কে হবেন। এ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আজ শাসক শিবির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পীযূষ গয়াল রাজ্যসভার নেতা হবেন।
কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধদের একাংশ নেতা অধীরকে লোকসভার দলনেতার পদ থেকে সরাতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, এক ব্যক্তি, এক পদের নিয়ম মেনে অধীরকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বা লোকসভার দলনেতার মধ্যে কোনও একটি পদ থেকে সরানো উচিত। ফলে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। আজ কংগ্রেস নেতৃত্ব এখনই কোনও বদল হচ্ছে না বলে জানানোর পরে অধীর অবশ্য বলেন, “কেন এই জল্পনা তৈরি হল, বলতে পারব না।” তবে বিক্ষুব্ধ নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব বাদল অধিবেশনে অধীর থাকছেন বলে জানিয়েছেন। তার পরে কী হবে, তা পরেই ঠিক হবে।
শিল্প-বাণিজ্য, বস্ত্রর মতো একাধিক মন্ত্রকের মন্ত্রী পীযূষ এত দিন রাজ্যসভায় দলের উপনেতা হিসেবে কাজ করতেন। লিডার অব দ্য হাউস ছিলেন থাওয়ারচন্দ গহলৌত। মন্ত্রিসভার রদবদলের আগে গহলৌতকে কর্নাটকের রাজ্যপাল নিয়োগ করায় তাঁর জায়গায় কে আসবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পীযূষের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নামও আলোচনায় ছিল। কিন্তু পীযূষ এত দিন অন্য দলের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজটি করতেন বলে তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন মন্ত্রীদের সংসদের অধিবেশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার রদবদলের পরে আজ নতুন চেহারার মন্ত্রিসভা ও মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক বসে। গত বছর মার্চের পরে এই প্রথম সকলের শারীরিক উপস্থিতিতে বৈঠক হল। সূত্রের খবর, মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন, পুরো প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে হাজির হতে। সংসদীয় রীতিনীতি ও প্রক্রিয়ার বিষয়েও ভাল করে জেনে নিতে বলেন তিনি।
অন্য দিকে সংসদে কংগ্রেসের রণকৌশল ঠিক করতে আজ সনিয়া গাঁধী সংসদীয় দলের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। অধীর কলকাতা থেকেই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। ঠিক হয়, কোভিডের টিকার অভাব, পেট্রল-ডিজেলের দাম, মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনীতির দুরবস্থা, কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে সরব হবে দল। বাদল অধিবেশন শুরুর আগে রবিবার সরকার, লোকসভার স্পিকার, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের ডাকে সর্বদলীয় বৈঠক হবে। সেখান থেকেই কংগ্রেস অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এগোবে।