অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভায় কংগ্রেসের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুলাম নবি আজাদকে খোঁচা দিয়েছিলেন। ‘জি-২৩’ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। লোকসভায় কংগ্রেসের হয়ে অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সামনে প্রশ্ন পাল্টা তুললেন, পুলওয়ামার হামলার জবাবে বালাকোটে অভিযানে যে ‘বিগ ম্যান’-এর রাজনৈতিক ফায়দার কথা বলা হয়েছিল, কে সেই ‘বিগ ম্যান’?
টিআরপি কেলেঙ্কারিতে অর্ণব গোস্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কোর্টে পেশ করেছে পুলিশ। তাতে দেখা গিয়েছিল, অর্ণব বালাকোটের হানার আগেই জানাচ্ছেন, পুলওয়ামার হামলার বড় জবাব দেওয়া হবে। তাতে ‘বিগ ম্যান’-এর বিরাট লাভ হবে। অধীর প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কে এই বিগ ম্যান? বালাকোটে অভিযানের কথা তো প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার জানার কথা। তাঁদের আগেই কে এই অভিযানের তথ্য ফাঁস করেছিল?’’
এ দিন লোকসভায় বিরোধীদের বাধা কাটিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে আলোচনা শুরু করা গিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-ই এ দিন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে অনুরোধ করেন, রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবে আলোচনা না হলে প্রথা ভাঙা হবে। অধীর বলেন, ‘‘আমরা শুধু কৃষি আইন ও আন্দোলন নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম।’’ রাজনাথ বলেন, সদস্যেরা রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই যা বলার, বলতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে প্রথমে আলোচনায় রাজি হননি বিরোধীরা। কিন্তু প্রথাভঙ্গের কথা বলায় তারা রাজি হন।
রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার জবাবে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দেন। গুলাম নবি আজাদ-সহ ২৩ জন নেতা সনিয়া গাঁধীকে লেখা চিঠিতে দলের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গুলাম নবি জম্মু-কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদের ভোট করানোর প্রশংসা করেছিলেন। মোদী বলেন, ‘‘আপনি প্রশংসা করলেন। কিন্তু আমি ভয় পেলাম। আমার বিশ্বাস, আপনার পার্টি একে ঠিক ভাবেই দেখবে। একে জি-২৩-র রায় ভেবে ফেলবে না।’’