Adhir Chowdhury

প্রশ্নোত্তর পর্ব ছাঁটাই? চিঠি ক্ষুব্ধ অধীরের

করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দু’মাস পিছিয়ে গিয়েছে বাদল অধিবেশন। এই পরিস্থিতিতে শাসক শিবিরের লক্ষ্যই হল, ফি দিন অল্প সময়ের জন্য সংসদ চালিয়ে প্রয়োজনীয় বিল পাশ করিয়ে নেওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২০ ০৫:১৯
Share:

লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী।—ফাইল চিত্র।

আগামী মাসে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সরকারি সূত্রের মতে, ফি দিন অধিবেশনের সময় কমাতে সম্ভবত কোপ পড়তে চলেছে দিনের প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ারের উপর। সরকারের ওই পরিকল্পনার সমালোচনা করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি জানান, জিরো আওয়ার ও প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমেই জাতীয় ও দেশের মানুষের সমস্যা সংসদে তুলে ধরার সুযোগ পান সাংসদেরা। তাই তাঁদের ওই অধিকার যেন কেড়ে না নেওয়া হয়।

Advertisement

করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দু’মাস পিছিয়ে গিয়েছে বাদল অধিবেশন। এই পরিস্থিতিতে শাসক শিবিরের লক্ষ্যই হল, ফি দিন অল্প সময়ের জন্য সংসদ চালিয়ে প্রয়োজনীয় বিল পাশ করিয়ে নেওয়া। বিশেষ করে অর্থবিলগুলি, যাতে সরকার চালাতে সমস্যায় না পড়তে হয়। সূত্রের মতে, অধিবেশনের সময় কমাতে গিয়ে স্বভাবতই কোপ পড়তে চলেছে প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ারে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে অধীর চৌধুরী স্পিকারকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘দিনের অধিবেশন অল্প সময়ে শেষ করতে গিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ার বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু আপনাকে মাথায় রাখতে হবে জাতীয় সমস্যা ও দেশবাসীর স্বার্থের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি ওই দু’টি সময়েই সংসদে তুলে ধরার সুযোগ পান সাংসদেরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের সমস্যার কথা বলতে না পারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের স্বার্থের পরিপন্থী।’’ তাই তাঁদের অধিকার যাতে কেড়ে নেওয়া না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য স্পিকারকে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছেন অধীর।

এ দিকে সংক্রমণের মধ্যেই সুষ্ঠু ভাবে সংসদ চালানোর কৌশল ঠিক করতে আজ স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্পিকার। বৈঠক শেষে লোকসভা সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, সংসদ শুরুর অন্তত তিন দিন আগে সব সাংসদের করোনা পরীক্ষা করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে। সূত্রের মতে, প্রয়োজনে সংসদে প্রবেশের সময়ে সেই রিপোর্ট দেখা হতে পারে। করোনা পরীক্ষা করাতে হবে সচিবালয়ের সমস্ত কর্মী ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই সংসদে প্রবেশ করা যাবে। সংসদের প্রতিটি দরজায় থার্মাল স্ক্যানার বসানো হবে। গোটা সংসদের ৪০টি স্থানে বসবে স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজ়ার মেশিন। সংসদ চলাকালীন সংক্রমণের সম্ভাবনা কম করতে সাংসদদের নিজের আসনে বসে বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বারের অধিবেশন বন্ধ থাকবে দর্শকদের জন্য। যদি সংসদ চলাকালীন কোনও সাংসদের নিজের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় জাগে, তা হলে তিনি সংসদেও করোনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement