গৌতম আদানি। ফাইল চিত্র।
আদানি সঙ্কটের ফল খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটিতে শেয়ার বাজার সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞেরা ছাড়াও এক জন বিচারপতিকে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আদানি সঙ্কটের জেরে যাতে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন তা নিশ্চিত করতেই এই কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো এবং কর ফাঁকি-সহ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনেছে আমেরিকান লগ্নি গবেষণা সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। এ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন বিরোধীরা। আদানিদের তরফে অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে পেশ করা আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কি আমরা ব্যবস্থা নেব? আমরা নীতিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তা সরকারের কাজ।’’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির পরামর্শ দিয়েছি। সরকারেরও এই বিষয়ে আগ্রহ থাকা প্রয়োজন। শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও ভারতীয় লগ্নিকারীদের স্বার্থরক্ষা সম্পর্কে আশঙ্কার কথা আমরা সলিসিটর জেনারেলকে জানিয়েছি।’’
প্রধান বিচারপতি জানান, সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-ই বাজার নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। তারাই পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘‘আমরা কোনও নিয়ন্ত্রক কাঠামোর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে চাই না। আলোচনা চাই।’’ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সেবি-র সঙ্গে আলোচনা করে সোমবার তিনি কোর্টে প্রস্তাব দেবেন।
আদানিরা নিউ ইয়র্কের প্রথম সারির আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা ‘ওয়াচটেল, লিপ্টন, রোজ়েন অ্যান্ড কাটজ়’কে নিয়োগ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই সংস্থা ইলন মাস্কের আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছে। সংবাদমাধ্যমের একাংশের মতে, আদানিরা আমেরিকায় ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারে।