প্রতীকী ছবি।
মু্ম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শিল্পী-কলাকুশলীরা প্রতিভার জোরেই সাফল্য পেয়েছেন, ধর্মের ভিত্তিতে নয়। শনিবার দলীয় মুখপত্রে এ কথা মনে করিয়ে দিল শিবসেনা। কঙ্গনা রানাউতের সাম্প্রতিক টুইটই এই সম্পাদকীয়ের লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
কঙ্গনা সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, মুম্বই ইন্ডাস্ট্রি নাকি মুসলিম অধ্যুষিত। এবং সেখানে নাকি জীবন ও পেশার ঝুঁকি নিয়ে তাঁকে ঝাঁসির রানি এবং শিবাজিকে নিয়ে ছবি করতে হয়েছে।
জবাবে সেনা-মুখপত্র লিখেছে, ‘‘দাদাসাহেব ফালকে যে ভিত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার সুফল সারা দেশের শিল্পী-কলাকুশলীরা পেয়েছেন। ভাগ্যের অন্বেষণে গোটা দেশ থেকে প্রতিভাবানেরা মুম্বইয়ে এসেছেন। অনেকে গোড়ায় ফুটপাতে থেকেছেন। পরে তাঁরাই জুহু, পালি হিল, মালাবার হিলের বাংলোয় উঠে গিয়েছেন। মুম্বই ও মহারাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞ থেকেছেন, তার উন্নয়নে অংশী হয়েছেন। অনেকে ভারতরত্ন এবং নিশান-ই-পাকিস্তান সম্মানও পেয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত দিলীপ কুমারকে যখন কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দেওয়া হয়, তখন শিবসেনা বিরোধিতাই করেছিল।
কিন্তু আজ সেনার মুখপত্র মনে করিয়ে দিয়েছে, শুধু ‘খান’রা নয়, এক সময় পঞ্জাবি এবং মরাঠিরা ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। কপূর, রোশন, দত্ত, শান্তারামরা ছিলেন। রাজেশ খন্না, জিতেন্দ্র, ধর্মেন্দ্ররা বাইরে থেকে এসে, পারিবারিক যোগ ছাড়াই মহাতারকা হয়েছেন। ইউসুফ খান ‘দিলীপ কুমার’ এবং মুমতাজ জেহান ‘মধুবালা’ হয়ে হিন্দু নামেই পরিচিতি লাভ করেছেন। একই সঙ্গে পরিবারতন্ত্র নিয়ে কঙ্গনার আক্রমণের জবাব দিয়ে সেনা লিখেছে, ‘‘অতীত তারকাদের সন্তানেরা যদি তাঁদের ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে যেতে চান, তাতে সমস্যা কোথায়? সঙ্গীত এবং চিত্রপরিচালনার কাজেও তো ঘরানা-প্রথা রয়েছে।’’ বলিউডি সংলাপের ঢংয়েই মুখপত্রে লেখা হয়েছে, কাচের ঘরে বাস করে নিজেদের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি করা ঠিক নয়।
সম্প্রতি মুম্বইয়ের পালি হিলে কঙ্গনার অফিসের একাংশ বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে ভেঙে ফেলে শিবসেনা পরিচালিত বৃহন্মুম্বই পুরসভা। রবিবার বিকেলে এ নিয়ে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন কঙ্গনা।