এইচডি দেবগৌড়া। ফাইল চিত্র।
‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ডে অভিযুক্ত তাঁর পুত্র এইচ ডি রেভান্না এবং পৌত্র প্রজ্বল। ভোটের আবহে এই ঘটনা নিয়ে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, একের পর এক অভিযোগ উঠেছে পুত্র এবং পৌত্রের বিরুদ্ধে, তিনি কিন্তু নীরবই ছিলেন। কিন্তু এ বার এই মামলা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জনতা দলের (সেকুলার) সুপ্রিমো এইচ ডি দেবগৌড়া।
শনিবার ৯২-এ পা দিলেন দেবগৌড়া। কিন্তু তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, জন্মদিন উদ্যাপন করা হবে না। সূত্রের খবর, পৌত্র প্রজ্বলের ঘটনা নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিব্রত। আর সে কারণেই জন্মদিন পালনে এ বার খুব একটা উৎসাহ দেখাননি দেবগৌড়া। তবে এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা যাঁরা জড়িত তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এমনকি প্রজ্বলের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন জেডিএস সুপ্রিমো।
এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “প্রজ্বল দেশের বাইরে। এইচডি কুমারস্বামী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমি তাঁদের নাম বলব না। তবে সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত।” তিনি এটাও আশ্বস্ত করেছেন যে, প্রজ্বলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেবগৌড়া বলেন, “প্রজ্বলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তবে এইচ ডি রেভান্নার সঙ্গে কী কী ঘটেছে তা সাধারণ মানুষ দেখেছেন। রেভান্না সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছে। তবে যাঁরা যাঁরা এই কাণ্ডে জড়িত, তাঁদের কাউকে রেয়াত করা উচিত হবে না।” প্রসঙ্গত, প্রজ্বলের যৌন নির্যাতনের যে সমস্ত ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো ফাঁস হয়েছে, তার মধ্যে এক নির্যাতিতাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল দেবগৌড়া-পুত্র রেভান্নার বিরুদ্ধেও। সেই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল রেভান্নাকে। গত ১৩ মে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। দেবগৌড়ার প্রপৌত্র প্রজ্বলের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। তার পর থেকেই দেশছাড়া তিনি। প্রজ্বলকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই এই মামলার জন্য গঠিত বিশেষ তদন্তকারী (সিট) দলের কাছে।