ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিদ্যাসাগর মহারাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মোদী। — ফাইল চিত্র।
জনপ্রিয় জৈন সন্ন্যাসী আচার্য বিদ্যাসাগর মহারাজের জীবনাবসান হল। শনিবার মধ্যরাতে ছত্তীসগঢ়ের রাজনন্দগাঁও জেলার চন্দ্রগিরি তীর্থে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তাঁর স্মৃতিচারণও করেছেন তিনি।
আচার্য বিদ্যাসাগর মহারাজের প্রয়াণের কথা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে চন্দ্রগিরি তীর্থ। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মহারাজ গত ছ’মাস ধরে এই তীর্থেই ছিলেন। দিন কয়েক ধরেই অসুস্থ ছিলেন মহারাজ। শেষ তিন দিন ধরে ‘সল্লেখনা’ ব্রত পালন করছিলেন তিনি। খাবার, জল কোনও কিছুই গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জৈন ধর্ম অনুসারে, এটি আত্মিক শুদ্ধির জন্য নেওয়া একটি ব্রত।’’ চন্দ্রগিরি তীর্থের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় বিদ্যাসাগর মহারাজের। রবিবার দুপুরে মহারাজের দেহ নিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। চন্দ্রগিরি তীর্থেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
বিদ্যাসাগর মহারাজ ১৯৪৬ সালের ১০ অক্টোবরে কর্নাটকের সদালগা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে আচার্য হন তিনি। তার আগে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সংস্কৃত ও প্রাকৃতের পাশাপাশি হিন্দি, মরাঠি ও কন্নড়ের মতো ভাষায় পারদর্শী ছিলেন তিনি। তাঁর লেখা কবিতাও বেশ জনপ্রিয়।
সন্ন্যাসীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সারা জীবন তিনি মানুষের মধ্যে সুস্বাস্থ্য এবং শিক্ষার প্রচারে নিয়োজিত ছিলেন। আমার সৌভাগ্য, আমি তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছিলাম।’’ রবিবার দিল্লিতে বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা করতে গিয়েও বিদ্যাসাগর মহারাজের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন মোদী।
উল্লেখ্য, ২০২৩-এর শেষ দিকে ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে চন্দ্রগিরি তীর্থে যান মোদী। দেখা করেছিলেন বিদ্যাসাগর মহারাজের সঙ্গে। তাঁর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদও নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ন্যাসীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। রবিবার ছত্তীসগঢ়ের রাজ্য সরকার অর্ধদিবস ‘রাষ্ট্রীয় শোক’ পালনের ঘোষণা করেছে।