দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
তদন্তে সহযোগিতা করছে না পুণের পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোর? পুলিশের এক সূত্রে তেমনই দাবি করা হয়েছে। আগামী ৫ জুন পর্যন্ত অভিযুক্তকে ‘অবজ়ার্ভেশন হোম’-এ পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড (জেজেবি) কিশোরকে জেরা করার অনুমতি দেয়। সেই অনুমতি পেয়েই ‘অবজ়ার্ভেশন হোম’-এ যায় তদন্তকারী দল। পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, কিশোরকে তার মায়ের সামনেই জেরা করা হয়েছিল। এক ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়। কিন্তু কিশোর তদন্ত সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চায়নি বলে সূত্রের দাবি।
ঘটনাচক্রে শনিবারই কিশোরের মা শিবানী আগরওয়ালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুত্রের বদলে নিজের রক্তের নমুনা দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে হাসপাতালে অভিযুক্ত কিশোরের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিবানী। পুত্রের রক্তের পরিবর্তে পরীক্ষার জন্য তিনি নিজের রক্তের নমুনা দিয়েছিলেন বলে তদন্তকারীদের দাবি। ওই হাসপাতালের কয়েক জন নার্সকেও তলব করেছিল পুণের অপরাধ দমন শাখা। রক্তের নমুনা বদলের প্রসঙ্গে তাঁদের জেরাও করা হয়।
এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন কিশোরের বাবা, তার পর গ্রেফতার হন তার দাদু। শুক্রবার তাঁদের দু’জনকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এ ছাড়াও এই ঘটনায় প্রমাণ লোপাট এবং ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সরকারি হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অজয় তাওড়ে, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক শ্রীহরি হালনর এবং আরও এক স্বাস্থ্যকর্মী অতুল ঘাটকাম্বলেকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।