দিব্যা পাহুজা। —ফাইল চিত্র ।
মডেল দিব্যা পাহুজার নিখোঁজ দেহ কোথায়? পুলিশকে জানাল দিব্যা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত বলরাজ গিল। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বলরাজ। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার সময় বলরাজ জানিয়েছেন যে, দিব্যা খুন হওয়ার পরের দিন তিনি মৃতদেহ পটীয়ালার একটি খালে ফেলে দেন। বলরাজ নাকি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, দিব্যার দেহ লোপাটের দায়িত্ব তাঁকে দিয়েছিলেন মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ সিংহ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বলরাজ পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ২ জানুয়ারি দিব্যাকে খুনের পর অভিজিৎ তাঁকে ১০ লক্ষ টাকার পরিবর্তে মৃতদেহ গায়েব করার দায়িত্ব দেন। এর পর দিন বলরাজ এবং তাঁর এক বন্ধু রবি বাঙ্গা দিব্যার দেহ পটীয়ালার একটি খালে ফেলে দিয়ে আসেন। বলরাজের স্বীকারোক্তির পর পুলিশ নতুন করে দিব্যার দেহ খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে গুরুগ্রামের একটি হোটেলে খুন হন দিব্যা। তার পর তাঁর দেহ লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে হোটেলমালিক অভিজিৎ এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গীর বিরুদ্ধে। পুলিশের অনুমান, অভিজিতের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন দিব্যা। জেরায় অভিজিৎ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, দিব্যার মোবাইলে তাঁর অনেক অশ্লীল ছবি ছিল। সেই ছবি দেখিয়ে বার বার অভিজিৎকে হুমকি দিতেন দিব্যা। তাঁর কাছে মোবাইলের পাসওয়ার্ডও চেয়েছিলেন অভিজিৎ। কিন্তু সেই পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় দিব্যাকে গুলি করে খুন করেছেন তিনি। অভিজিতের এই দাবির সত্যতা কতটা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অভিজিৎও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, দিব্যার দেহ লোপাটের জন্য বলরাজ এবং রবিকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোথায় সেই দেহ লোপাট করা হয়েছে, সেই তথ্য এত দিন বার করতে পারছিল না পুলিশ। তবে বলরাজের স্বীকারোক্তির পর দিব্যার দেহ খুঁজে বার করা একটু সহজ হবে বলে পুলিশ মনে করছে।
উল্লেখযোগ্য যে, দিব্যা খুনের ঘটনায় অভিজিৎ ছাড়াও তাঁর হোটেলের দুই কর্মী ওম প্রকাশ এবং হেমরাজকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মেঘা ফোগট নামে এক তরুণীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে মেঘার সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন অভিজিৎ। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, সাত বছর জেলে থাকার পর ২০২৩ সালের জুন মাসে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন দিব্যা। জেলে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় গ্যাংস্টার বিন্দর গুর্জরের। সেই গ্যাংস্টারের সূত্র ধরেই অভিজিতের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল দিব্যার। গত তিন মাস ধরে তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, লিভ ইন সম্পর্কে থাকার সময় অভিজিতের অশ্লীল ভিডিয়ো এবং ছবি তুলে রেখেছিলেন দিব্যা। অভিযুক্ত অভিজিতের দাবি, সেই ছবি এবং ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে হুমকি দিতেন দিব্যা।