যৌন-অপরাধে অভিযুক্তদের রেয়াত করবে না প্রশাসন। দাবি উত্তরপ্রদেশ সরকারের। প্রতীকী ছবি।
শিশুকন্যা বা মহিলাকে ধর্ষণ, গণধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের মতো যাবতীয় অপরাধে অভিযুক্তদের আগাম জামিন দেওয়া হবে না। এই মর্মে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় একটি বিল পাশ করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সরকারের দাবি, এ ধরনের সমস্ত যৌন-অপরাধে অভিযুক্তদের রেয়াত করবে না প্রশাসন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের বিধানসভায় ফৌজদারি কার্যবিধি (সংশোধনী) বিল পেশ করা হয়। এই বিলটি পাশ হওয়ার পর তা আইনে পরিণত হলে ফৌজদারি বা নির্দিষ্ট করে পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে নির্দিষ্ট বদল আনা সম্ভব হবে। এর জেরে যৌন-অপরাধে অভিযুক্তরা আগাম জামিনের সুবিধা পাবেন না।
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৮ ধারায় বদল করা যাবে। বদল হবে পকসো আইনের ধারায়ও। ফলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওই ধারায় মামলা রুজু করা হলেও আগাম জামিনের মতো আইনি সুরক্ষা পাবেন না তিনি।
জাতীয় মহিলা কমিশনের গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশ জুড়ে ৩১,০০০ মহিলার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ থেকেই অর্ধেকের মতো অভিযোগ এসেছে। যদিও যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের দাবি, রাজ্যের শিশুকন্যা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে একেবারেই নমনীয় মনোভাব দেখাবে না উত্তরপ্রদেশ সরকার। ওই বিলটিতে বলা হয়েছে, ‘শিশুকন্যা এবং মহিলাদের সঙ্গে অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একেবারেই সহনশীলতা দেখাবে না সরকার। যৌন-অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত প্রমাণ সংগ্রহ করতে, তা নষ্ট করা বা তার সম্ভাবনা রোধ করতে এই বিল আনা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের নির্যাতিতা ও সাক্ষীকে যাতে ভয় দেখিয়ে বা জোরজবরদস্তি করে অভিযুক্ত প্রভাবিত না করতে পারেন, তাতেও নজর রাখা হয়েছে। সে জন্য ১৯৭৩ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৮ ধারাটি সংশোধন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে (উত্তরপ্রদেশ) সরকার।’
যোগী সরকারের আরও দাবি, এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে সংশ্লিষ্ট ধারায় এই সংশোধনী।