অভিযুক্ত রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)-র কনস্টেবল চেতন সিংহ। — ফাইল চিত্র।
ট্রেনের কামরায় সহকর্মী-সহ চার জনকে গুলি করে খুন করেছিলেন রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)-র এক কনস্টেবল। ওই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক-যোগ উড়িয়ে দিয়েছিল আরপিএফ। যদিও সাত দিন পর রেলপুলিশ (জিআরপি) জানাল, অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে জাতি, ধর্ম, ভাষার ভিত্তিতে ঘৃণায় প্ররোচনা দেওয়ার (১৫৩এ) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার আদালতে জিআরপি জানিয়েছে, আরপিএফের অভিযুক্ত কনস্টটেবল চেতন সিংহের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় মামলা করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারা, অস্ত্র আইনেও মামলা করা হয়েছে। ১১ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে চেতনকে পাঠিয়েছে আদালত।
চেতনের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, চলন্ত ট্রেনে চেতনের পায়ের সমানে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত একটি দেহ। ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘যদি ভোট দিতে হয়, যদি হিন্দুস্তানে থাকতে হয়, তা হলে আমি বলি, মোদী এবং যোগী, এই দু’জন রয়েছেন। আর রয়েছেন আপনাদের ঠাকরে।’’ ওই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। রেলের তরফে জানানো হয়, ৩১ জুলাই জয়পুর-মুম্বই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের বি৫ কামরায় প্রথমে আরপিএফ অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর টিকারাম মিনাকে গুলি করে খুন করেন চেতন। এর পর এক কামরা থেকে অন্য কামরায় যেতে যেতে তিন যাত্রীকে গুলি করেন চেতন। তিন জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাঁর পরিবার দাবি করে, তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই ঘটনার নেপথ্যে সাম্প্রদায়িক-যোগকে দায়ী করেন। রেলপুলিশের একটি সূত্র তখন সাম্প্রদায়িক যোগের অভিযোগ অস্বীকার করে। তাদের তরফে জানানো হয়, অভিযুক্ত এক জন হিন্দুকেও খুন করেন চেতন। যদিও এআইএমআইএম (মিম) সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি টুইটারে দাবি করেন, ‘‘এটি সন্ত্রাসবাদী হামলা, যেখানে মুসলিমদের নিশানা করা হয়েছে।’’ আসাদউদ্দিনের ওই টুইট ব্লক করা হয় ভারতে। এ বার রেলপুলিশ অভিযু্ক্তের বিরুদ্ধে জাতি, ধর্ম, ভাষার ভিত্তিতে ঘৃণায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলাই আনল।