—প্রতীকী ছবি।
আলোচনাপন্থী আলফার সঙ্গে কথা এগিয়েছে বহু দূর। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের দাবি মেনে শান্তি চুক্তি করা হলে নস্যাৎ করতে হবে অসম চুক্তি। কারণ, আলোচনাপন্থী আলফা ১৯৭১ সালের বদলে অসমে বিদেশি শনাক্তকরণের ভিত্তিবর্ষ ১৯৫১ সাল করার শর্ত রেখেছে। আলোচনাপন্থী আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া জানান, শীঘ্রই আলফার সঙ্গে শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের। ভেঙে দেওয়া হবে আলফাও।
চেতিয়া বলেন, ‘‘জানুয়ারিতে জমা দেওয়া খসড়া শর্তে কিছু পরিবর্তনের পরে ২০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রের মধ্যস্থতাকারী এ কে মিশ্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত শর্ত। কিন্তু শান্তি চুক্তির খসড়া কেন্দ্র আমাদের পাঠায়নি। মনে হচ্ছে, আগামী মাসেই চুক্তি সই হবে।” সংগঠন সূত্রে খবর, কেন্দ্রকে জমা দেওয়া ১১ দফা শর্তে বিধানসভায় ভূমিপুত্রদের জন্য ৯৪টি আসন সংরক্ষণ, শুদ্ধ এনআরসি তৈরি করা, ‘শহিদ, নির্যাতিত ও নিখোঁজ’দের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা গ্রহণের মতো বিষয়গুলি রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল ভিত্তিবর্ষ নিয়ে। চেতিয়ার বক্তব্য, সারা দেশে যেখানে বিদেশি চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে ১৯৫১ সাল ভিত্তিবর্ষ, সেখানে অসমে তা ১৯৭১ করার কোনও যুক্তি নেই। তাই ভিত্তিবর্ষ বদল আলফার প্রধান দাবি। সে ক্ষেত্রে, অসম চুক্তি ও তার ভিত্তিতে তৈরি এনআরসির কী হবে? চেতিয়া সাংবাদিকদের জানান, চুক্তির পরে তার কোনও অংশ নিয়ে আদালতে মামলা হলে শর্ত রূপায়ণ সম্ভব হবে না। তাই চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। তাদের তরফে সমাধান সূত্র মিললে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চুক্তির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন।
বিজেপির মুখপাত্র তথা আইনজীবী বিজন মহাজন বলেন, ‘‘আলফা যে দাবি করছে তার ন্যায্য ভিত্তি রয়েছে, কিন্তু অসমের ভিত্তিবর্ষ কী হওয়া উচিত এই নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। সে ক্ষেত্রে চুক্তি যদি করতেই হয়, ওই শর্তটি সম্পর্কে উল্লেখ থাকতে হবে যে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে শর্তটি রূপায়ণ করা হবে।’’