বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেছে ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া (এনএসইউআই)। এই ছাত্র সংগঠনের জাতীয় আহ্বায়ক ভাবিক সোলাঙ্কি বলেন, “এবিভিপির এই কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে এবিভিপি গুন্ডাগিরি করে।”
এই ভিডিয়ো ঘিরেই বিতর্ক। ছবি সৌজন্য টুইটার।
আমদাবাদের একটি পলিটেকনিক কলেজের এক অধ্যক্ষাকে ছাত্রীর পা ছুঁতে বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর এক নেতার বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অধ্যক্ষার ঘরে বাকবিতণ্ডা চলছে। তর্কবিতর্ক চলার মধ্যে হঠাৎই চেয়ারে বসে থাকা অধ্যক্ষাকে দেখা গেল তাঁর সামনে দাঁড়ানো ছাত্রীকে নত হয়ে প্রণাম করলেন। তাঁর পা ছুঁলেন।
ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। দাবি করা হচ্ছে ভিডিয়োটি আমদাবাদের এসএএল ডিপ্লোমা কলেজের। দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর কলেজে হাজিরা নিয়ে বচসার সূত্রপাত। অভিযোগ, গত বৃস্পতিবার ছাত্রীর হয়ে সওয়াল করতে অধ্যক্ষা মণিকা স্বামীর অফিসে ঢোকেন এবিভিপি নেতা অক্ষত জায়সবাল। তখনই কথাকাটির মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেছে ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া (এনএসইউআই)। এই ছাত্র সংগঠনের জাতীয় আহ্বায়ক ভাবিক সোলাঙ্কি বলেন, “এবিভিপির এই কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে এবিভিপি গুন্ডাগিরি করে।”
অধ্যক্ষা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, এর আগেও অক্ষত কলেজের ভিতরে গন্ডগোল পাকিয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, “ছাত্রীর পায়ে পড়তে বাধ্য করা হয়েছে আমাকে। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরই এবিভিপির শীর্ষ নেতারা আমার কাছে এসেছিলেন এবং এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমাও চেয়েছেন।”