অধ্যাপক রবির বিরুদ্ধে আমন দুবে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র এফআইআর দায়ের করেছেন। এফআইআরে বলা হয়েছে, হিন্দু ছাত্রদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন অধ্যাপক। এক সমাজসেবী সন্দীপ সিংহ অভিযোগ তুলেছেন, দলিত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এবিভিপির বিক্ষোভ। ছবি সৌজন্য টুইটার।
জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল। সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর সদস্যরা। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে অধ্যাপককে হেনস্থা এবং হুমকি দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ উঠেছে এবিভিপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মঙ্গলবারের।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কসভার আয়োজন করেছিল একটি হিন্দি সংবাদমাধ্যম। সেই বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন হিন্দির অধ্যাপক রবিকান্ত চন্দন। বিতর্কসভায় তিনি পট্টভী সীতারামাইয়ার ‘ফিদার্স অ্যান্ড স্টোন’ থেকে একটি গল্প উদ্ধৃত করে জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং বিশ্বনাথ মন্দির নিয়ে যে বিতর্ক চলছে সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। এবং তা ব্যাখ্যা করতে গিয়েই নাকি তিনি হিন্দু দেব-দেবীর ‘অপমান’ করেছেন। এর পরই অধ্যাপক রবির বিরুদ্ধে সরব হন এবিভিপি সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো…গোলি মারো…’। যে স্লোগান প্রথম শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মুখে ২০২০ সালে দিল্লির হিংসার সময়।
অধ্যাপক রবির বিরুদ্ধে আমন দুবে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র এফআইআর দায়ের করেছেন। এফআইআরে বলা হয়েছে, হিন্দু ছাত্রদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন অধ্যাপক। এক সমাজসেবী সন্দীপ সিংহ অভিযোগ তুলেছেন, দলিত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
অধ্যাপকের অভিযোগ, বিতর্কসভায় যে বই এবং লেখকের কথা উল্লেখ করেছিলেন, তা বাদ দিয়ে এমন ভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে বিষয়টি যাতে এই ধারণাই সৃষ্টি হয় যে তিনি হিন্দু দেবদেবীকে অপমান করতে চেয়েছেন। অধ্যাপকের কথায়, “কারও ভাবাবেগে আঘাত করার আমার কোনও ইচ্ছাই নেই। চাইও না। আমি শুধু বই থেকে গল্পটি তুলে ধরেছিলাম। এবং একই সঙ্গে এটাও বলেছিলাম, এটা নিছকই একটি গল্প, বাস্তব ঘটনা নয়।”