ফাইল চিত্র।
বর্ধিত ফি পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু জেএনইউ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি এখন আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র সদস্যরাও তাঁদের উপরে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি সতীশ কুমারের অভিযোগ, ‘‘আমরা আন্দোলনে শান্তি বজায় রেখেছি। কিন্তু প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবিভিপি-র জনা কয়েক সদস্য চড়াও হয়েছে আমাদের উপরে। মার খেয়েছেন বেশ কয়েক জন পড়ুয়া।’’ ছাত্রনেতা এন সাঁই বালাজির অভিযোগ, কখনও ভোর-রাতে আলো বন্ধ করে পড়ুয়াদের উপরে হামলা করা হচ্ছে, কখনও ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্টের গায়ে হাত তুলছেন নিরাপত্তারক্ষী। যে কোনও মূল্যে প্রতিবাদ থামাতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং এবিভিপি মরিয়া হয়ে এ কাজ করছে বলে তাঁদের অভিযোগ। ফি কমে আগের জায়গায় না-ফেরা পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে আসা কিংবা পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্তির কোনও প্রশ্ন নেই বলে তাঁদের দাবি। এ দিন হামলায় আহত এক ছাত্রীকে সামনে আনে ছাত্র সংগঠন। পুরো ঘটনার নিন্দা করেছে শিক্ষক সংগঠন জেএনইউটিএ। এবিভিপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ দিকে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শীতের ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলবে ৬ জানুয়ারি। গত মাসে ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবের পর থেকে যা বন্ধ। স্নাতক স্তরের অধিকাংশ পরীক্ষা শুরু হবে ১৬ জানুয়ারি থেকে। জামিয়ার সামনে গত ২৩ দিন ধরে প্রতিবাদ-সমাবেশ জারি থাকলেও ছুটি শেষে পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।