ফাইল চিত্র
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ছয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ত্রিপুরার খোয়াই থানায় যে মামলা হয়েছে, সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠাল হাই কোর্ট। জবাব দিতে হবে দু’সপ্তাহে। এ জন্য ১৪ দিনের সময় দিয়ে পরবর্তী শুনানির ধার্য হয়েছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন-দের সঙ্গে অভিযুক্ত হয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিকও। তিনিই আদালতে অভিষেকদের বিরুদ্ধে আনা মামলা খারিজের আর্জি জানিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি আকিল আব্দুল হামিদ কুরেশি আজ সুবল ভৌমিকের আবেদন বিচারের জন্য গ্রহণ করেন। সুবলের পক্ষে মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব হাই কোর্টকে জানান, থানা থেকে বেরিয়ে আসার ৪৮ ঘণ্টা পর কাজে বাধাদানের অভিযোগ করেছে পুলিশ৷ ফলে এর কোনও আইনি গ্রহণযোগ্যতা নেই। এ যে মিথ্যা মামলা, তা আর প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। অন্য দিকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এস এস দে সুবলের আর্জি খারিজের জন্য যুক্তি পেশ করেন।
প্রধান বিচারপতি কোনওটিই খারিজ না-করে পুলিশকে ১৪ দিনের নোটিস দিয়েছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, খোয়াই মামলার তদন্ত যেমন চলছে, তেমনই চলুক। তবে আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা যাবে না। সুবল একে নিজেদের নৈতিক জয় এবং রাজ্য সরকারের প্রথম ধাক্কা বলে দাবি করেছেন। তাঁর আশা, পরবর্তী শুনানিতেই তাঁর আবেদন মেনে খোয়াইয়ের মামলাটি খারিজ হয়ে যাবে, রেহাই পাবেন অভিষেক-দোলারা। পুলিশকে যে বিজেপি সরকার নগ্ন ভাবে ব্যবহার করছে, তা-ও স্পষ্ট হয়ে যাবে। অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য, তিনি সুবলের আর্জি খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি তা মেনে নেননি। এতে কারও জয়ের কিছু নেই।