দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সেই ২১ মার্চ থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। এ বার গণ অনশন কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে আপ। রবিবার দেশ জুড়ে গণ অনশন করবেন আপ সমর্থকেরা। দিল্লির মন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ১০টা থেকে আপ বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীরা গণ অনশনে বসবেন।
দিল্লির আবগারি মামলায় আপ প্রধানকে গ্রেফতার করে ইডি। দলের আহ্বায়ক তথা প্রধানের গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে সরব হয়েছে আপ। দু’দফায় ইডি হেফাজত শেষে বর্তমানে কেজরীওয়ালকে পাঠানো হয়েছে তিহাড়ে। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তিনি। অন্য দিকে, দিল্লি হাই কোর্টে চলছে তাঁর জামিন মামলার শুনানি।
২১ মার্চ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির পর থেকেই দিল্লির রাস্তায় নানা ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। অবিলম্বে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়তে হবে, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। শুধু আপ নয়, বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’তে থাকা সব দলই কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে আওয়াজ উঠেছে বিরোধী শিবির থেকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতি জনসভা থেকেই কেজরীওয়াল এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করছেন। কংগ্রেসও নানা ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
অতীতে ‘প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও’, ‘মোমবাতি মিছিল’-সহ একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল আপ। রবিবার নয়াদিল্লির যন্তর-মন্তরে জড়ো হবেন আপ সমর্থকেরা। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল করে তাঁদের যন্তর-মন্তরে পৌঁছনোর কথা। তবে আপের তরফে বলা হয়েছে, যাঁরা যন্তর-মন্তরে আসতে পারবেন না তাঁরা নিজেদের বাড়িতে থেকেই গণ অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন। পাশাপাশি, দিল্লি পুলিশও রাজধানীর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। কয়েকটি জায়গার যান নিয়ন্ত্রণও করা হয়েছে। আপের কর্মসূচির কারণে যানজটের আশঙ্কাও থাকছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।