দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনার বাসভবনের বাইরে ধর্না আম আদমি পার্টির কর্মীদের। আটক করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার। পিটিআই
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে আজ মুখ খুলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে আক্রমণ শানালেন উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। টুইটে একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দিল্লির মানুষকে দুর্নীতিমুক্ত সরকার দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অরবিন্দ কেজরীওয়াল মরিয়া হয়ে নজর অন্য দিকে ঘোরাতে মিথ্যা অভিযোগে সরব হয়েছেন।’’
দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সত্যাসত্য যাচাই করতে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল। সেই মামলায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার বাড়ি, দফতর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার পরেই পাল্টা আক্রমণে সাক্সেনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হন আপ নেতৃত্ব। তাঁর পদত্যাগও দাবি করা হয়। এই অবস্থায় আজ টুইট করে সরাসরি কেজরীওয়ালকে আক্রমণ শানিয়ে সাক্সেনা বলেন, ‘‘ভবিষ্যতেও আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে এ ধরনের মনগড়া অভিযোগ উঠলে আমি অবাক হব না। উনি জেনে রাখুন, কোনও পরিস্থিতিতেই আমি আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে পিছপা হব না।’’
আপ শিবিরের দাবি, সিসৌদিয়ার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির মাধ্যমে দিল্লিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে আপ বিধায়কদের ঘুষ দিয়ে কেনার চেষ্ট করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই ‘অপারেশন কমল’ যে ব্যর্থ হয়েছে, তা প্রমাণে আজ আস্থা ভোট ডেকেছিল শাসক দল। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৫৮-০ ফলে জেতে কেজরীওয়ালের দল। ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপির আট বিধায়ক। ভোটাভুটির আগে বিধানসভায় দৃষ্টি আকর্ষণ প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। তা খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার রাখি বিড়লা। সে সময় বিজেপি বিধায়কেরা ওয়েলে নেমে হইচই করলে তিন বিধায়ককে মার্শাল দিয়ে বাইরে বার করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদে কক্ষত্যাগ করেন বিজেপির অন্য বিধায়কেরা।