দিল্লির আপ নেতা গুলাব সিংহ যাদব। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির আপ বিধায়ক গুলাব সিংহ যাদবের বাড়িতে ইডির হানা। শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি চলছে। তবে কোন মামলায় তল্লাশি চালাতে গুলাবের বাড়িতে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংবাদমাধ্যম নিউজ় ১৮ জানিয়েছে, আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় এই তদন্ত নয় বলেই দাবি ইডির।
গুলাবের বাড়িতে ইডির তল্লাশির বিরোধিতা করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘বিজেপি সরকার দেশের সমস্ত বিরোধী দলের নেতাকে জেলে পাঠাতে চাইছে, এটা শুধু ভারত নয়, দেশের বাইরের লোকজনও বুঝে গিয়েছেন। এই দেশ আসলে রাশিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, উত্তর কোরিয়াতেও এই জিনিস হয়েছিল। এ বার তা হচ্ছে ভারতে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র এ বার স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছে, যেখানে মানুষের সাধারণ মৌলিক অধিকারগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হবে, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হবে।’’
সৌরভ আরও বলেন, ‘‘আমাদের দলের চার জন শীর্ষ নেতা মিথ্যা অভিযোগে জেল খাটছেন। আমরা এ বার গুজরাতেও ভোটে লড়ছি। গুজরাতে আপের তরফে গুলাবকে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমার মনে হয়, আগামী দিনে আরও বিরোধী নেতাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা তল্লাশি চালাবে এবং বিরোধীদের এ ভাবে ভয় দেখানো হবে।’’
এর আগে ২০১৬ সালে আর্থিক তছরুপের মামলায় গুলাবকে এক বার গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ।
উল্লেখ্য, আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপের সর্বোচ্চ নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ওই মামলায় তাঁকে আট বার সমন পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই ছিল নবম সমনের দিন। প্রতি বারই কেজরী হাজিরা এড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার রক্ষাকবচ চেয়ে তিনি দিল্লি হাই কোর্টে গিয়েছিলেন। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। রাতেই তাঁর বাসভবনে যায় ইডি। ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশি অভিযানের পর কেজরীকে গ্রেফতার করে সংস্থা। তাঁকে ছ’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেজরীই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হলেন। আপ জানিয়েছে, কেজরী পদত্যাগ করছেন না।