বন্যায় বিপর্যস্ত দিল্লি। —পিটিআই।
দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও রাজনৈতিক বাক্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল আপ এবং বিজেপি। শুক্রবারেই হরিয়ানার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ জল ছাড়ার অভিযোগ তুলেছিল আপ। শুক্রবার রাতেই তার পাল্টা দিল বিজেপি। কোনও রাজনৈতিক নেতার নাম না করলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে ‘জবাব’ দিল হরিয়ানা সরকারও।
শুক্রবার আপের রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিংহ এবং আপের মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা কক্কর সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তুলেছিলেন যে, সংস্থান থাকা সত্ত্বেও হরিয়ানার হাতনিকুণ্ড বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল যমুনার পুর্ব দিক এবং পশ্চিম দিকের খালে না পাঠিয়ে দিল্লির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তিন দিন ধরে দেশের রাজধানীতে বৃষ্টি না হওয়া সত্ত্বেও সেখানে যমুনার জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে কী করে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পরে এই বিষয়ে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন আপ নেতারা।
এই বিষয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সেচ সম্পর্কিত পরামর্শদাতা তথা অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক দেবেন্দ্র সিংহ জানান, সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের নিয়ম মোতাবেক বাঁধ থেকে ১ লক্ষ কিউসেক বা তার বেশি জল ছাড়া হলে তা যমুনার পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের খালে পাঠানো যায় না। এই বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ করেন দেবেন্দ্র।
উল্লেখ্য যে, হাতনিকুণ্ড বাঁধ থেকে একটি সেচখাল গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের দিকে, আর একটি গিয়েছে হরিয়ানার অভ্যন্তরে। আপের দাবি, যমুনার অতিরিক্ত জল উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং দিল্লিতে সমান হারে পাঠানো হলে কোনও জায়গাই জলমগ্ন হত না। হরিয়ানা সরকারের বক্তব্য, আপের প্রস্তাব মেনে নিলে বাঁধের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে বিপদ আরও বৃদ্ধি পেতে পারত। এই নিয়ে দিল্লির আপ সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। আপকে তোপ দেগে বিজেপির কটাক্ষ, বন্যা প্রতিরোধে কোনও কাজ না করে, এখন অন্যকে দোষ দিতে ব্যস্ত কেজরীওয়ালের সরকার। উল্লেখ্য, দিল্লির বন্যা পরিস্থিতির এখনও বিশেষ উন্নতি হয়নি। তবে যমুনার জলস্তর আরও একটু নেমেছে। শুক্রবার রাত ১১টায় দিল্লির ওল্ড রেল ব্রিজের কাছে যমুনার জলস্তর ছিল ২০৭.৯৮ মিটার।