এই ছবি পোস্ট করা হয়েছে আপের টুইটার হ্যান্ডলে। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
সচিন পাইলটের বিদ্রোহে ডামাডোল তৈরি হয়েছে রাজস্থানের রাজ্য রাজনীতিতে। সচিনকে ইতিমধ্যেই রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার পরই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের দাবি, ‘‘সচিনকে বিজেপিই নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বিজেপির ষড়যন্ত্রে ফেঁসে গিয়ে পথভ্রষ্ট হয়েছেন।’’ এই বক্তব্যের পরই মঙ্গলবার নিজেদের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি মিম শেয়ার শেয়ার করেছে আম আদমি পার্টি। সেই মিমে কংগ্রেস ও বিজেপির সম্পর্ক দেখিয়ে, নিজেদের দুই প্রতিপক্ষকেই বিঁধেছে আপ।
নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও, মধ্যপ্রদেশ ও কর্নাটকে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। সচিনের বিদ্রোহে রাজস্থানেও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তার বাতাবরণ। সেই পরিস্থিতিতেই কংগ্রেস ও বিজেপি— নিজের দুই বিরোধী নিশানা করেছে আপ। শেয়ার করা মিমে প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীক হাত চিহ্ন। পরে দু’টি ছবিতে সেই হাতের আকার বদলাচ্ছে। তার পর চতুর্থ ছবিতে তা পরিণত হয়েছে বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক পদ্মফুলে। এই ছবিগুলির উপরে লেখা হয়েছে ‘কংগ্রেস-বিজেপি সম্পর্ক’।
যদিও সচিন পাইলট বলেছেন, ‘‘রাহুল গাঁধী সরে যাওয়ার পর থেকেই দলে ও রাজস্থান সরকারে আমার আত্মসম্মান বজায় রেখে চলাটা মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।’’ তবে তিনি যে বিজেপিতে যাচ্ছেন না, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে ২০১৮-তে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে কমল নাথের নেতৃত্বে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু ১৫ মাস পর পড়ে যায় সেই সরকার। শিবরাজ সিংহ চৌহাণের নেতৃত্বে ফের সরকার গড়ে বিজেপি। এখানেও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙিয়ে নেওয়ার। কর্নাটকেও নাটক ছিল অনেকটা এ রকমই।
গত বছর দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া দাবি করেছিলেন, ‘‘সাত জন বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি যোগাযোগ করেছে। আপ ত্যাগ করার জন্য প্রত্যেকে ১০ কোটি টাকা অফার করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ‘মর্যাদা পাচ্ছিলাম না, তবে বিজেপিতে যাচ্ছি না’
আরও পড়ুন: দলে শৃঙ্খলা মানতেই হবে, বার্তা কংগ্রেসে