দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
জেলবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁর দল আম আদমি পার্টি। দলের তরফে বলা হয়েছে, জেলে যাওয়ার পর থেকে এক নাগাড়ে ওজন কমেছে কেজরীর। গত তিন মাসে আট কেজি ওজন কমে গিয়েছে। আপের দাবি, এত দ্রুত ওজনহ্রাস উদ্বেগের, মানছেন চিকিৎসকেরাও। এমনকি, কেজরীকে চিকিৎসকেরা পরোটা, পুরী জাতীয় খাবার খাওয়াতে বলেছেন বলেও জানিয়েছে দিল্লির শাসকদল।
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করে ইডি। আপ জানিয়েছে, গ্রেফতারির আগে তাঁর ওজন ছিল ৭০ কেজি। ২২ জুন সেই ওজন কমে হয়েছে ৬২ কেজি। অর্থাৎ, গত তিন মাসে কেজরীর ওজন কমে গিয়েছে আট কেজি। আপের তরফে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘‘কেজরীর একটানা এই ওজনহ্রাসের বিষয়টি চিকিৎসকেরা অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা হিসাবে দেখছেন। ওঁর শীঘ্রই শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন। তবেই এই সমস্যার মূল কারণ বোঝা যাবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চালানো যাবে।’’ দলের তরফে আরও দাবি, কেজরীর শারীরিক পরিস্থিতিতে দিল্লি এমসের চিকিৎসকদের বোর্ড কিছু বিশেষ খাবারের পরামর্শ দিয়েছে। তার মধ্যে পরোটা, পুরীর মতো খাবার রয়েছে। যা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
আপের বক্তব্য, ‘‘আমরা আগেই দাবি করেছিলাম, কেজরীর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হোক। কারণ ওঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা তখন থেকেই উদ্বিগ্ন ছিলাম। চিকিৎসকেরা ওঁর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন। কিন্তু জেলে কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা ছাড়া আর কিছু করানো হয়নি। হৃদ্যন্ত্র এবং ক্যানসার সংক্রান্ত কিছু পরীক্ষাও এখনও বাকি।’’
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত মার্চ থেকে জেল খাটছেন কেজরী। তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তিনিই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছেন। ভোটের সময়ে ২১ দিনের জন্য তাঁকে জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরে আবার তিনি আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তাঁকে তিহাড় জেলে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি কেজরীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। পরে দিল্লি হাই কোর্ট সেই নির্দেশ স্থগিত করে দেয়।