দিল্লির ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-তে আফতাবের নার্কো পরীক্ষা করা হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে তিনিই খুন করেছেন। পলিগ্রাফ টেস্টের পর এ বার নার্কো পরীক্ষাতেও স্বীকারোক্তি শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। এই খুনের অস্ত্র তিনি কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন, বৃহস্পতিবার আফতাব তা-ও জানিয়েছেন বলেও দাবি পুলিশের।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) সাগরপ্রীত হুডা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আফতাবের নার্কো পরীক্ষার যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সূত্রের দাবি, ওই পরীক্ষার সময় আফতাবের স্বীকারোক্তি ছিল, ‘‘হ্যাঁ! শ্রদ্ধাকে আমিই খুন করেছি।’’
শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগে ১২ নভেম্বর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আফতাবের স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও এই খুনের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। এই স্বীকারোক্তির পক্ষে প্রমাণ পেশ করতে না পারলে আদালতে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সূত্রের খবর, সেই অস্ত্রও তিনি কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন, নার্কো পরীক্ষায় তা জানিয়েছেন আফতাব। এ ছাড়া, খুনের পর শ্রদ্ধার পরনের জামাকাপড় এবং তাঁর মোবাইল ফোন কোথায় লুকিয়েছেন, সে সম্পর্কেও তথ্য দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিল্লির রোহিণী এলাকায় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-তে আফতাবের নার্কো পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুডা। সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ দিল্লির রোহিণী এলাকায় বাবাসাহেব অম্বেডকর হাসপাতালে আফতাবকে কড়া প্রহরায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর হাসপাতালের এফএসএল-এ সকাল ১০টা নাগাদ নার্কো পরীক্ষা শুরু হয়। ঘণ্টা দুয়েক ধরে তা চলে। হুডা জানিয়েছেন, আফতাবের নার্কো পরীক্ষা সফল হয়েছে এবং পরীক্ষার পর তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন।
এফএসএল-এর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নার্কো পরীক্ষায় আফতাবের জবাব খতিয়ে দেখবে দিল্লি পুলিশ এবং ফরেন্সিক দল। তা সন্তোষজনক না হলে আফতাবের আবার নার্কো পরীক্ষায় করানো হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এর আগে দু’দফায় আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। তাতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রশ্নের জবাবে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা তিনি স্বীকার করেন বলে দাবি।