—ফাইল চিত্র।
নিজের বিয়ের আসরে হবু স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে পণ নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন এক যুবক। এমনকি দাবি-দাওয়া না মিটলে তিনি বরযাত্রী নিয়ে ফিরে যাওয়ার হুমকিও দিলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ওই যুবকের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন নেট-নাগরিকদের একাংশ।
ঘটনাস্থল সম্ভবত বিহারের কোনও এলাকা। ভিডিয়োয় সেটা খুব একটা স্পষ্ট নয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি মঞ্চে হবু স্ত্রীকে পাশে নিয়ে বর বেশে বসে রয়েছেন সেই যুবক। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এতে ভুল কোথায়? কে বলেছে এ দেশে পণপ্রথা নেই? সর্বত্র এটা চলে। কিছু ঘটনা সামনে আসে, কিছু আসে না। আপনারা এটা জানতে পেরেছেন কারণ আমি এটা পাইনি বলে। পেয়ে গেলে আর এটা নিয়ে হইচই হত না।’’ সেই সময়ে ওই যুবককে কেউ জানান যে মেয়ের বাড়ির লোক কিছু জিনিসের ব্যবস্থা করেছেন। বাকিটা বিয়ে মিটলে করে দেবেন। তখন ওই যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘‘যা হওয়ার তা আজই হতে হবে। আমার চাহিদা পূরণ হলেই তবে আমি আজ বিয়ে করব, না হলে বারাত নিয়ে চলে যাব।’’
এর পরেই ওই যুবক জানান, তাঁকে বলা হয়েছিল, তাঁদের দাবি বিয়ের আগেই মেটানো হবে। কিন্তু বিয়ে করতে এসে তিনি দেখেন, সব ব্যবস্থা হয়নি। তাঁর বক্তব্য, তাঁর বিয়ের জোগাড় করতে পরিবারের অনেক খরচ হয়েছে। সে সব এখন কে দেখবে? তাঁর হবু স্ত্রীর পরিবারের উচিত ছিল নিজেদের সাধ্যের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার। এই সবের মধ্যেই এ বার নতুন কনেকে বলতে শোনা যায়, বাকি টাকা খুব শীঘ্রই ওই যুবককে দিয়ে দেওয়া হবে। তখন যুবক জানান একটা সোনার চেন ও আংটি তখনও তিনি পাননি। এবং তিনি সেটা তখনই চান।
এর পরেই বিয়ের আসরে উপস্থিত কিছু লোক ওই যুবককে বোঝাতে শুরু করেন যে তিনি নিজে শিক্ষিত, বিয়ে না হলে দুই পরিবারের সম্মান হানি হবে। অনেকে এ-ও বলেন ওই যুবক নিজের বাবাকে যেন বিষয়টি বোঝান। এর পরে সে কথা মেনে নেন ওই যুবক।
ঘটনার ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে পণ দেওয়া ও নেওয়া, দু’টিই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই যুবককে যাতে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়, তার দাবি তুলেছে অনেকেই। অনেকে মানসিকতা বদলের সওয়াল করেছেন। তবে গোটা ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।