National News

বিরল হলেও নজিরবিহীন নয়, রাজ্যসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ পড়ল মোদীর বক্তব্যের শব্দ

কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদের বক্তব্যের একটি শব্দও বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি শাসক দলের উদ্দেশে হিন্দিতে ‘গুমরাহ’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। যার অর্থ, ভুল পথে চালিত করা বা ভুল বোঝানো। সেটিও অসংসদীয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:১৫
Share:

রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সৌজন্যে: রাজ্যসভা টিভি

প্রায় নজিরবিহীন ভাবে রাজ্যসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ গেল খোদ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের একটি শব্দ। জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে এমন একটি শব্দ ব্যবহার করেন মোদী, যা অংসসদীয়। তাই ওই শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে বলে সংসদ সূত্রে খবর। বিষয়টি বিরল হলেও নজিরবিহীন নয় বলেই মত সংসদ বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বৄহস্পতিবার সংসদের উভয় কক্ষেই জবাবি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংশোধীত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), এনআরসি, এনপিআর নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেন মোদী। কিন্তু সংসদের আধিকারিকদের মতে, মোদীর বক্তব্যের মধ্যে একটি শব্দ ছিল অসংসদীয়। তাই অধিবেশনের কার্য বিবরণী থেকে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। আবার একই কারণে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদের বক্তব্যের একটি শব্দও বাদ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও অংশ সংসদের কার্য বিবরণী থেকে বাদ যাচ্ছে, সংসদীয় ইতিহাসে এমন নজির খুব কমই আছে। ২০১৮ সালে কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যের কয়েকটি শব্দ বাদ পড়ে। আবার ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের রাজ্যসভায় একটি বক্তব্যের কিছু শব্দ বাদ দেওয়া হয় কার্যবিবরণী থেকে। ওই সময়ের বিরোধী দলনেতা প্রয়াত অরুণ জেটলির বক্তব্যের কিছু শব্দও বাদ পড়ে সংসদের কার্য বিবরণী থেকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাহুলের ‘ডান্ডা পেটা’ মন্তব্য ঘিরে তুলকালাম লোকসভায়, ধস্তাধস্তি

আরও পড়ুন: ‘টিপ্পনী’তে না গিয়ে বিধানসভায় রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণই পড়লেন ধনখড়

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement