বিজাপুর ও নারায়ণপুরের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেন মাওবাদী অধ্যুষিত আবুজমাদ জঙ্গলে। মঙ্গলবার অশোক ও আনন্দকে মুক্তি দিয়েছে মাওবাদীরা। অশোকেরা বিজাপুরের কুতরুতে এসে পৌঁছেছেন।
প্রতীকী ছবি।
তাঁর স্বামীকে মাওবাদীরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। স্বামীর মুক্তির জন্যে কাতর আর্জি জানিয়ে মাওবাদীদের উদ্দেশে ভিডিয়োবার্তা পাঠালেও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ স্বামীর খোঁজে আড়াই বছরের মেয়েকে কোলে নিয়ে নিজেই বিপদসঙ্কুল জঙ্গলে ঢুকে পড়লেন স্ত্রী। সিনেমার চিত্রনাট্যকে হার মানিয়ে দেওয়া এই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ে। মহিলার নাম সোনালি পওয়ার। মঙ্গলবারই তাঁর স্বামীকে মাওবাদীরা মুক্তি দিলেও সোনালি এখনও ফিরতে পারেননি। তিনি এখনও জঙ্গলেই। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে স্থানীয় পুলিশ এবং সাংবাদিকেরা।
সোনালি ও তাঁর স্বামী অশোক পওয়ার আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। আড়াই ও পাঁচ বছরের দুই মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার। বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার অশোক সম্প্রতি ছত্তীসগঢ়ে এসেছিলেন একটি সেতু তৈরির কাজে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি অশোক ও সংস্থার আর এক কর্মী আনন্দ যাদবকে অপহরণ করে মাওবাদীরা। তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। পাশাপাশি ঝাঁপিয়ে পড়েন সোনালিও। প্রথমে কাতর ভিডিয়োবার্তা পাঠান স্বামীর মুক্তি চেয়ে। তার পর বিজাপুরের স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আড়াই বছরের কন্যাকে কোলে নিয়ে রবিবার জঙ্গলে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিজাপুর ও নারায়ণপুরের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেন মাওবাদী অধ্যুষিত আবুজমাদ জঙ্গলে। মঙ্গলবার অশোক ও আনন্দকে মুক্তি দিয়েছে মাওবাদীরা। অশোকেরা বিজাপুরের কুতরুতে এসে পৌঁছেছেন।