বর-কনের ছবি তোলার ফাঁকেই তাঁদের পরিবারও ছবি তুলতে পাশে দাঁড়ায়। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের আগেই ঝগড়া লেগে গেল বর আর কনের পরিবারের। হবু দম্পতির সঙ্গে কে আগে ছবি তুলবে তাই নিয়েই বিতণ্ডা শুরু। তবে অচিরেই গলার স্বর চড়ে। আলোকচিত্রী এবং বর-কনেকে ভুলে তীব্র বাক্য বিনিময় শুরু হয় দু’পক্ষের। শেষটায় বরপক্ষ আর কনেপক্ষ পরষ্পরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করতে বিয়েবাড়ি আচমকাই রণক্ষেত্রের আকার নেয়। মার খেয়ে গুরুতর জখম হন বরের কাকা-জ্যাঠা। অন্য দিকে, কনে পক্ষের আত্মীয়দের কয়েকজনও অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষে আহতদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটতে হয়। পুলিশ এসে থামায় দু’পক্ষকে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের দেওড়িয়া জেলার। এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেওড়িয়ার মাধবপুর গ্রামে পাত্রীর বাড়িতে বিয়ে করতে এসেছিলেন প্রায় সাড়ে ছ’শো কিলেমিটার দূরবর্তী রামপুরের পাত্র। বিয়ের মালাবদল-সহ প্রাথমিক রীতি রেওয়াজ পর্ব শেষে বর-কনে মণ্ডপে যাওয়ার পথেই হঠাৎ আলোকচিত্রীরা তাঁদের থামিয়ে ছবি তুলতে শুরু করেন। বর-কনের ছবি তোলার ফাঁকেই তাঁদের পরিবারও ছবি তুলতে পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু কাদের ছবি আগে তোলা হবে, তাই নিয়েই বাধে গণ্ডগোল।
পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, বরপক্ষের অনেকেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তাঁরাই আগে ছবি তোলার দাবি জানান। আর তাতেই কনেপক্ষের আত্মীয়দের সঙ্গে অশান্তি বাধে তাঁদের। অশান্তি বাড়লে একটা সময় পাত্র বিয়ে করবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন বিয়েবাড়িতে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে অবশ্য পুলিশের উপস্থিতিতে মাঝপথে থেমে যাওয়া বিয়ে সম্পূর্ণ হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।