মোট ১৯ জন ছত্রাক আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে গুজরাতে। ছবি: এএফপি।
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের দেহে হানা দিচ্ছে এক বিশেষ ধরনের ছত্রাক। আর তাতে রোগীদের প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা অন্তত ৫০ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে। গুজরাতের আমদাবাদের চিকিৎসক পার্থ রানার দাবি, সম্প্রতি এমন পাঁচজন রোগীর সন্ধান পেয়েছেন তিনি।
রোগ সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ অতুল পটেল জানিয়েছেন, গত তিন মাসে রাজ্যে মোট ১৯টি মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের ঘটনা তাঁরা চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে এই ছত্রাকের হানা প্রায় সাড়ে চার গুণ বেড়ে গিয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মিউকরমাইকোসিস মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’’
পার্থের দাবি, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি এবং স্টেরয়েড গোত্রের ওষুধ ব্যবহারে অভ্যস্ত রোগীরাই মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এই ছত্রাক শ্বাসযন্ত্রে বাসা বাঁধায় প্যারানাসাল সাইনাসের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এমনকি, তারা ফুসফুসে পৌঁছে গিয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে মৃত্যুর সম্ভাবনা।
সরকারি সূত্রের খবর, আমদাবাদের চার এবং ভুজের এক কোভিড-১৯ রোগী নয়া ছত্রাক সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। আমদাবাদের আক্রান্ত চারজনের বয়স ৩৪ থেকে ৪৭ বছর। শুক্রবার ভুজে আক্রান্ত ব্যক্তি ৬৭ বছরের বৃদ্ধ। তাঁর অবস্থা ‘অতি সংকটজনক’।
আরও পড়ুন: ভোট ভরাডুবির জন্য স্মৃতিকথায় সনিয়া, মনমোহনকে নিশানা প্রণবের
শনিবার পার্থ বলেন, ‘‘আমদাবাদের চার জন আক্রান্তের রক্তেই শর্করার মাত্রা খুব বেশি। তাঁরা নিয়মিত স্টেরয়েড নিতেন। ফলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার নন, এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণ ছড়াতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। কিন্তু এই চার জনের ক্ষেত্রে মাত্র ২-৩ দিন সময় লেগেছে।’’
আরও পড়ুন: ৯৮ লক্ষ ছাড়াল দেশে করোনা আক্রান্ত, এক লাফে অনেকটাই কমল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা