ট্রেনের লাইনে কাজ চলছিল বলে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে রেল, তার জন্যই রাখা ছিল ওই লোহার রড। ফাইল চিত্র।
ট্রেনের জানলার ধারের আসনটিতে বসেছিলেন তিনি। কাচের পাল্লা বন্ধ করা ছিল। ঘাতক লোহার রড সেই জানলা ভেঙে ঢুকে যায় পাশে বসা যাত্রীর শরীরে। লহমায় এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় তাঁর গলা। মৃত্যু হয় ওই যাত্রীর। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ) ডিভিশনের দানওয়ার এবং সোমনা স্টেশনের মাঝামাঝি নীলাচল এক্সপ্রেসে।
সকালে দিল্লি থেকে রওনা হয়ে কানপুরে যাচ্ছিল ট্রেনটি। দুর্ঘটনা ঘটে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। ঘটনাস্থলের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ট্রেনের বগির ১৪ নম্বর আসনে তখনও বসে রয়েছেন ওই যাত্রী। জানলা ভেঙে ঢোকা লোহার রড গেঁথে তাঁর গলায়। পাশের ফাঁকা আসন ভেসে যাচ্ছে রক্তে। চোখ দু’টি বোজা। একটি হাত তখনও গরম জ্যাকেটের পকেটের ভিতরে। পায়ের কাছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা জানলার টুকরো টুকরো কাচ।
তখনও যাত্রীর গলায় ঢুকে রয়েছে লোহার রড। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ট্রেনের আসন। ছবি : টুইটার থেকে।
ঘটনাটি ঘটে উত্তর-মধ্য রেলওয়ের অধীনে। শুক্রবার এই ঘটনাটি নিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল। তারা জানিয়েছে, ‘‘ওই যাত্রীর নাম হরিকেশকুমার দুবে। রেল লাইনে কাজের জন্য রাখা একটি লোহার রড দুর্ঘটনাবশত জানলা ভেঙে তাঁর গলায় ঢুকে যায়। এর পর আলিগড় জংশনে গিয়ে ট্রেনটি থামলে তাঁর দেহ উদ্ধার করে জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
তবে রেললাইনের কাজের জন্য রাখা লোহার রড কী ভাবে বন্ধ জানলা দিয়ে যাত্রীর শরীরে বিঁধল, তা স্পষ্ট করেনি রেল। বস্তুত, এমন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ প্রায়শই হয়ে থাকে বিভিন্ন রেল লাইনে। যাত্রীদের পক্ষে তার খবর রাখা সম্ভব নয়। এমন দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে রেলযাত্রীদের মধ্যে।