উইপোকায় খেয়ে ফেলা সেই টাকা। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যাঙ্ককে ভরসা করেননি, তাই তিল তিল করে জমানো টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন লোহার ট্রাঙ্কে। কিন্তু সেই কষ্টার্জিত অর্থ যে উইয়ের পেটে যাবে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি অন্ধ্রপ্রদেশের এক ব্যবসায়ী।
কৃষ্ণা জেলার মায়লাভরমের বাসিন্দা বিজলি জামালায়া। পেশায় এক জন শুয়োর ব্যবসায়ী। প্রতি দিন টাকার ভালই লেনদেন তাঁর। ব্যবসায় যা টাকা মুনাফা করতেন, সেই টাকা জমাতে শুরু করেন মাথার উপর একটা ছাদ তৈরি করার জন্য।
সবাই যেখানে ব্যাঙ্কে টাকা গচ্ছিত রেখে নিশ্চিন্ত হওয়ার চেষ্টা করেন, বিজলি কিন্তু তার ঠিক উল্টো পথেই হেঁটেছেন। ব্যাঙ্কে ভরসা রাখতে পারেননি। তাঁর মনে হয়েছে ব্যাঙ্কের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত লোহার ট্রাঙ্ক। অতএব, কিনে আনলেন একটা ট্রাঙ্ক। সেখানে প্রতি দিনের অর্জিত টাকা রাখতে শুরু করেন। এ ভাবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নগদ জমান ওই ট্রাঙ্কে। বেশির ভাগই ছিল ২০০ এবং ৫০০ টাকার নোট।
ট্রাঙ্ক ভরে উঠেছিল টাকায়। উপর থেকে ঠিকঠাক দেখালেও নীচ দিয়ে যে উইপোকা সেই টাকায় ভাগ বসাচ্ছে সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বিজলি। সম্প্রতি ট্রাঙ্ক খুলতেই চোখ কপালে ওঠে। টাকার বান্ডিলের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছিল হাজার হাজার উইপোকা। টাকাও ছিন্নভিন্ন। এই দৃশ্য দেখে হতাশায় ভেঙে পড়েন বিজলি। লোক জানাজানি হওয়ার ভয়ে সকলের আড়ালে সেই অচল টাকাগুলোকে ব্যাগে ভরে রাস্তার এক ধারে গিয়ে ফেলে আসেন। মঙ্গলবার প্রতিবেশী শিশুরা যখন খেলছিল, তাদের নজরে পড়ে ব্যাগভর্তি টাকা। এলাকায় হইটই পড়ে যায়। এতগুলো টাকা কার তা নিয়ে কৌতুহল বাড়তে থাকে। শেষমেশ পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করতেই বিজলির নাম এবং গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।