Online fraud

ইউটিউব ভিডিয়ো ‘লাইক’ করলেই হাতভরা ‘বেতন’! প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আড়াই লাখের আফসোস তরুণীর

প্রতারিত ছাত্রী জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে পার্ট টাইম কাজের প্রস্তাব দিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি সংস্থা। নিজেদের ‘মিডিয়া সংস্থা’ বলে দাবি করেছিল ওই সংস্থাটি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

ইউটিউবের ভিডিয়ো লাইক করতে হবে। অথবা সাবস্ক্রাইব করতে হবে ইউটিউবারদের তৈরি চ্যানেল। কাজ বলতে এটুকুই। আর এই কাজের জন্যই মিলবে মোটা টাকা পারিশ্রমিক। এমনই প্রস্তাব নিয়ে একটি টেলিফোন বার্তা এসেছিল এক ছাত্রীর কাছে। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এখন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার মাসুল গুনছেন এক তরুণী।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের ঠাণের বাসিন্দা ওই তরুণীর বয়স ৩২। তিনি আইনের ছাত্রী। পুলিশকে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে পার্ট টাইম কাজের প্রস্তাব দিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি সংস্থা। নিজেদের ‘মিডিয়া সংস্থা’ বলে দাবি করে তাঁকে কাজের ধরনও বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীকে তারা বলে, এক একটি ভিডিয়ো লাইক করার বিনিময়ে ৫০ টাকা করে পাবেন তিনি। শুধু সেই ভিডিয়ো লাইক করার প্রামাণ্য স্ক্রিনশট পাঠাতে হবে ওই সংস্থাকে। তা হলেই অ্যাকাউন্টে চলে আসবে ‘পারিশ্রমিক’।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রী তিনটি ভিডিয়ো লাইক করে তার স্ক্রিনশট পাঠিয়ে টাকাও পান। প্রথম দিনই দেড়শো টাকা চলে আসে তাঁর অ্যাকাউন্টে। এর পরেই তাঁকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হতে বলা হয়। ২০০০ টাকা জমাও করতে বলা হয় তাঁকে। টোপ দেওয়া হয়েছিল ২০০০ টাকা দিলে ২৮০০ টাকা ফেরত পাবেন। ৫০০০ টাকা দিলে পাবেন ৬৮০০ টাকা। প্রতারকদের কথায় বিশ্বাস করে ওই টাকা জমা করে ফেরতও পান তিনি। এর পরই প্রথমে ২০ হাজার, তার পর ৫০ হাজার এবং শেষে ৮০ হাজার টাকা একটি নির্দিষ্ট ইউপিআই আইডিতে পাঠান ওই ছাত্রী। কিন্তু বিনিময়ে আর কোনও টাকাই ফেরত আসেনি তাঁর কাছে।

Advertisement

প্রতারক সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ওই ছাত্রীকে আরও টাকা জমা করাতে বলে। এমনও জানায়, এর পর তিনি একসঙ্গে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা ফেরত পাবেন। পরে বাকিটা। সেই টাকা জমা করানোর পর তাঁর অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা আসেও। কিন্তু পুলিশকে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, সে টাকা কোনও মতেই অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে পাঠানো যাচ্ছে না বা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা যাচ্ছে না।

তবে তিনি যে আদতে প্রতারিত হয়েছেন তা বুঝতে আরও এক লক্ষ টাকার মাসুল দিতে হয় ওই আইনের ছাত্রীকে। টাকা তুলতে না পেরে ওই অ্যাকাউন্টে আরও এক লক্ষ টাকা জমা করিয়েছিলেন তিনি। তার পরেও টাকা হাতে না পেয়ে তিনি বোঝেন প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পড়ে মোট দু’লক্ষ ৪২ হাজার টাকা খুইয়েছেন তিনি। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement