প্রতীকী ছবি।
চলতি সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় দানা বাঁধতে চলেছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর বুধবার জানিয়েছে। ওই দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস অবশ্য জানান, এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ১৬ মে পর্যন্ত কোনও সতর্কতা এখনও নেই।
দিল্লির মৌসম ভবনের খবর, উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের একটি তালিকা ছিল। প্রথম তালিকার একটি নাম অবশিষ্ট আছে। তাইল্যান্ডের দেওয়া সেই নামটি হল ‘আম্পান’। তবে ঝড় এখনও তৈরি না-হওয়ায় সরকারি খাতায় এই মুহূর্তে আম্পান ব্যবহার করা হচ্ছে না। এটি ব্যবহৃত হয়ে গেলে নতুন তালিকা থেকে নাম দেওয়া হবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ দিন বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ১৬ মে-র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। আবহবিদেরা জানান, তা প্রথমে উত্তর-পশ্চিম দিকে রওনা দেবে এবং তার পরে উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে।
আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পত্রাণে নির্মলার ভরসা ব্যাঙ্কঋণই
১৬ মে নাগাদ আন্দামানে বর্ষা ঢুকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। প্রশ্ন হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মূল ভূখণ্ডেও কি আগে ঢুকবে বর্ষা? সাধারণত পশ্চিমবঙ্গে মৌসুমি বায়ু ঢোকে ১০ জুন নাগাদ। নতুন ক্যালেন্ডারে তা এক দিন পিছিয়েছে। কেরলে বর্ষা আগমনের দিন ১ জুন থাকলেও দেশের বহু এলাকায় তার আগমন পিছিয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে বর্ষা পৌঁছতে প্রায় এক সপ্তাহ দেরি হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কখনও কখনও বর্ষার আগমন ত্বরান্বিত করে। ২০০৯ সালে আয়লার হাত ধরে ২৪-২৫ মে বর্ষা ঢুকেছিল বঙ্গে। তাতে বর্ষার স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়ে যায়। এ বার কী হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানান আবহবিদেরা। তাঁদের মতে, ঘূর্ণিঝড় তৈরির পরে তার মতিগতি বুঝে তবেই কিছু বলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: আতঙ্ক কাটাতে করোনা লড়াইয়ে ভরসা গবেষকেরা