মৃত্যুর আগে হতাশার কথা বন্ধুদের বলে যান মাদ্রাজ আইআইটির পড়ুয়া। ফাইল চিত্র।
মাদ্রাজ আইআইটিতে রহস্যমৃত্যু হয়েছিল দ্বিতীয় বর্ষের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক পড়ুয়ার। শুক্রবার হোস্টেলের বন্ধ ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। সেই অনুমান আরও জোরদার হয়েছে মৃত্যুতদন্তে নিযুক্ত আধিকারিকদের কথায়। শনিবার তদন্তকারীরা একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেই ওই পড়ুয়া বন্ধুদের বলেছিল, “কারও আমার জন্য সময় নেই, সবাই খুব ব্যস্ত।” মৃত পড়ুয়ার এই খেদোক্তিই আত্মহত্যা-তত্ত্বকে আরও জোরদার করছে বলে মত তদন্তকারীদের একাংশের।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শিক্ষাঙ্গনে মেধাবী ছাত্র হিসাবেই পরিচিত ছিলেন ওই পড়ুয়া। তবে তিনি সকলের সঙ্গে মিশতেন না। শুক্রবারই এই মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, কী কারণে ওই ছাত্র মারা গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সেখানে একের পর এক পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে তাঁরা জানান, অতিমারির পর বহু পড়ুয়া বহির্জগতের সঙ্গে সাবলীল ভাবে মিশতে পারছেন না। ফলে তাঁরা মানসিক চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারছেন না। মানসিক চাপের মোকাবিলায় পড়ুয়াদের জন্য বি হ্যাপি ওয়েবসাইট চালু করেছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
এ মাসের শুরুতেই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩২ বছর বয়সি গবেষক, বাংলার এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার আগে মার্চ মাসে অন্ধ্রের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি আইআইটির তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। ফেব্রুয়ারিতেও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এক গবেষক মাদ্রাজ আইআইটিতে আত্মহত্যা করেন।