প্রতীকী ছবি।
এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাঁকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁকে দিল্লি এবং জয়পুরে বহুবার ধর্ষণ করেছেন ওই ব্যক্তি। এমনকি ধর্ষণের জেরে তিনি অন্ত্বঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁর উপর অকথ্য শারীরিক অত্যাচারও চালানো হয়। শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গর্ভপাত হয়ে যায় তাঁর। ২৩ বছরের ওই তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
যে মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাজস্থানের অশোক গেহলত সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য। রাজস্থানে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা। তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ লিখিয়েছেন জয়পুরেরই এক তরুণী। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, ফেসবুকে ওই মন্ত্রীর ছেলে যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। সেখান থেকেই বন্ধুত্বে গড়ায় আলাপ। তবে কিছুদিন পরেই তাঁকে একা দেখা করতে বলেন মন্ত্রীপুত্র। ২০২১ সালের ৮ জানুয়ার সওয়াই মাধোপুরের একটি হোটেলে দেখা হয় দু’জনের। তরুণী জানিয়েছেন প্রথম সাক্ষাতেই তাঁর পানীয়ে মাদক মিশিয়ে অচেতন করে তাঁক ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। পরে তাঁর জ্ঞান ফিরলে তাঁর অনাবৃত শরীরে ছবিও দেখান তাঁকে।
এই ঘটনার পর বহুবার ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করেছেন মন্ত্রীপুত্র। তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন। মারধরও করেছেন। এমনকি ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করাতে চেয়েছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন সন্তানের দায়িত্ব নিতে পারবেন না। তরুণী প্রস্তাব না নেওয়ায় অত্যাচার আরও বেড়েছে। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁকে ক্যামেরার সামনে মারধর করতেন ওই ব্যক্তি। অশ্লীল ভিডিয়ো রেকর্ড করে সেই ভিডিয়ো নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতেন।
তরুণীর অভিযোগের পর দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা এই ঘটনার তদন্তে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে।