বিহারের কোয়রান্টিন সেন্টারে অনুপ ওঝা। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
খবরটা পেয়েছিলেন আগেই। কিন্তু বিশ্বাস হয়নি। তাই প্রশাসনের আধিকারিকরা কোয়রান্টিন সেন্টারে হাজির হয়েছিলেন দুপুরের খাওয়ার সময়। সেখানে গিয়ে এক পরিযায়ী শ্রমিকের খাওয়ার বহর দেখে তাঁদের চক্ষু ছানাবড়া অবস্থা। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলার মাঝওয়ারির এক কোয়রান্টিন সেন্টারে।
লকডাউনের জেরে সেখানে রয়েছেন রাজস্থান থেকে বিহারে আসা ২৩ বছরের অনুপ ওঝা। অস্বাভাবিক পরিমাণে তাঁর খাবার খাওয়ার ‘গল্প’ বেশ কয়েক দিন আগেই ছড়িয়ে পড়েছিল ওই এলাকায় । তা চাক্ষুষ করতেই সম্প্রতি লাঞ্চের সময় সেখানে এসেছিলেন বিডিও একে সিংহ-সহ প্রশাসনের কয়েক জন আধিকারিক। তাঁরা এসে দেখেছেন, প্রায় ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের খাবার একা খান অনুপ।
জানা গিয়েছে, সকাল বেলার টিফিনে অনুপের লাগে ৪০টা রুটি! দুপুরে তিনি খান আট থেকে দশ প্লেট ভাত। কোয়রান্টিনের সময় তাঁকে খাবার সরবরাহ করতে গিয়ে অধৈর্য হয়ে পড়েছেন সেখানকার রাঁধুনিরাও। কী করে একজন এত খাবার খেতে পারে, তা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন: মৃত্যু ও আক্রান্তে ফের রেকর্ড দেশে, রেকর্ড সুস্থ হওয়ার সংখ্যাতেও
এ ব্যাপারে ব্লক ডেভেপলমেন্ট অফিসার একে সিংহ বলেছেন, ‘‘আমরা যে দিন ওঝাকে দেখতে গিয়েছিলাম, সে দিন সকালে লিট্টি বানানো হয়েছিল। ও খেয়েছিল ৮৫টা লিট্টি। সেখানকার রাঁধুনিও ওর জন্য খাবার বানাতে বানাতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন।’’ এই বিষয়টি উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানিয়েও দিয়েছেন। তবে তাই বলে অনুপের ডায়েটে কোনও রকম কাটছাঁট করেননি তাঁরা। সিংহ বলেছেন, ‘‘ওঝার কোয়ারান্টিনের সময়কাল শেষ হওয়ার মুখে। আমরা রাঁধুনিকে জানিয়েছি, সে যে রকম খেতে চাইবে সেই মতো খাবার দিতে।’’
আরও পড়ুন: অন্তত তিন পার্টনার, ১১ বাচ্চা, ‘মোস্ট ফেমাস’ এই বাঘিনীকে নিয়ে রয়েছে ফেসবুক পেজ পর্যন্ত