একনাথ শিন্ডে। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার দিল্লি থেকে ফিরেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে চলে গেলেন সাতারায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে। তাঁর অনুপস্থিতির কারণে শুক্রবার বাতিল হয়ে গেল মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে সদ্যজয়ী বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি(অজিত) জোটের বৈঠক। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে নতুন করে শুরু হল জল্পনা।
দিল্লিতে শাহ-শিন্ডে বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, মহারাষ্ট্রের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং আর এক বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার হাজির ছিলেন। ছিলেন অজিতের ঘনিষ্ঠ আর এক নেতা প্রফুল পটেলও। বিজেপির তরফে বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ বলা হলেও পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। শিন্ডেসেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফডণবীসকে মেনে নিলেও স্বরাষ্ট্র দফতর কার হাতে থাকবে তা নিয়ে এখনও টানাপড়েন চলছে।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন জোটের তিন দল— বিজেপি, শিন্ডেসেনা এবং এনসিপি(অজিত) যথাক্রমে ১৩২, ৫৭ এবং ৪১টি আসনে জিতেছে। সূত্রের খবর, ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদ না-ছাড়ার বিষয়টিতে কার্যত অনড় ছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে। বিস্তর দর-কষাকষির পরে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড় থেকে পিছিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন তিনি। নতুন সরকারে কোন দল কী মন্ত্রিত্ব পাবে, তা নিয়ে এখনও জট না কাটায় শিন্ডেশিবির এ বার পাল্টা চাপের রণনীতি নিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু তাতে ‘কাজ’ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেব বলছে, অজিতের দলকে সঙ্গে পেলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ১৪৫ ছুঁয়ে ফেলবেন ফডণবীস।