‘বস’-এর নির্দেশে ম্যানেজারকে স্তম্ভে বেঁধে মার, মৃত্যু! — প্রতীকী ছবি।
অভিযোগ ছিল চুরির। সেই অভিযোগ অস্বীকার করায় সংস্থার ম্যানেজারকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হল। শক দেওয়ার অভিযোগও উঠল। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয় ম্যানেজারের। সরকারি হাসপাতালের সামনে তাঁর দেহ ফেলে চম্পট দেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে।
শিবম জোহরি গত সাত বছর ধরে একটি পণ্য পরিবহণ সংস্থায় ম্যানেজারের কাজে নিযুক্ত। সম্প্রতি সেই সংস্থায় একটি অন্য সংস্থার জিনিস হারিয়ে যায়। চুরির অভিযোগ ওঠে পণ্য পরিবহণ সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েক জনের পর ডাক পড়ে শিবমের। কিন্তু চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেন শিবম। অভিযোগ, তার পরেই সংস্থার মালিক বঙ্কিম সুরির নির্দেশে শিবমকে একটি স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে শুরু হয় রডপেটা। তাঁকে বৈদ্যুতিক শকও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার দৃশ্য বলে দাবি করে একটি ভিডিয়ো ঘুরছে সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মারের চোটে কুঁকড়ে যাচ্ছেন শিবম। তবুও রড দিয়ে শিবমকে মেরেই চলেছেন এক ব্যক্তি। পিছনে কয়েক জনকে দেখা যাচ্ছে মারধর করা দৃশ্য দেখছেন। আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
অভিযোগ, মারধরের জেরে তখনই মৃত্যু হয় শিবমের। তার পর দেহটি একটি সরকারি হাসপাতালের বাইরে ফেলে চম্পট দেন অভিযুক্তরা। তার পরে শিবমের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিবমের। তাড়াতাড়ি হাসপাতালেও আসতে বলা হয় বাড়ির লোকেদের। হাসপাতালে এসে তাঁরা শিবমের মৃতদেহ প্রথম দেখেন। সেই সময় হাসপাতালে উপস্থিতি এক পুলিশকর্মীর দেহ দেখে সন্দেহ হয়। তিনি পরীক্ষা করে দেখেন। বুঝতে পারেন, তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু ঘটলে যে ধরনের চিহ্ন থাকা উচিত শরীরে, শিবমের শরীরে তা নেই। বরং মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। তার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, চুরির অভিযোগ স্বীকার না করাতেই তাঁকে মারধর করা হয়। সেই সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
বঙ্কিম সুরি-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যে সংস্থার মাল খোয়া যাওয়ায় শিবমকে মার খেতে হল, সেই সংস্থার মালিককেও খুঁজছে পুলিশ। সেই সংস্থায় হানা দিয়ে একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, সেই গাড়িটি করেই শিবমের দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শিবমের দেহ ফেলে সেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেওয়া হয়।