প্রতীকী ছবি।
ছেলের ব্যবহারে অত্যন্ত বিরক্ত ছিলেন তিনি। পছন্দ ছিল না সেই ছেলের চালচলন। তবে অন্য এক ‘ছেলেকে’ মনপ্রাণ দিয়ে ভালবাসতেন মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের ওম নারায়ণ। হোক না সে চারপেয়ে পোষ্য। তাই রীতিমতো খাতায়-কলমে নিজের অর্ধেক সম্পত্তি সেই পোষ্য কুকুরটির নামে লিখে দিলেন ওম নারায়ণ। বাকি অর্ধেক লিখে দিয়েছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে।
উইলটিতে লেখা রয়েছে, ওম নারায়ণের চার একর জমির অর্ধেক পাবে তাঁর সন্তানসম কুকুর রকি ও বাকি অর্ধেক পাবেন স্ত্রী চম্পা। তাঁর যুক্তি, ‘‘ওরাই আমার দেখাশোনা করে তাই ওরাই আমার সবচেয়ে প্রিয়।’’ উইলে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার অবর্তমানে পোষ্যটির দেখাশোনা যিনি করবেন রকির সম্পত্তির ভাগ পাবেন তিনি।’’ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কৃষকের প্রথম স্ত্রীর নাম ধনবন্তী বর্মা। সেই স্ত্রীয়ের সঙ্গে তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে। নারায়ণের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী অর্থাৎ চম্পার সঙ্গে তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে।