মহম্মদ নুরুদ্দিন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
উনিশটি বার ঘায়েল হওয়ার পর গঙ্গারাম পর্যন্ত থেমে গিয়েছিল। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য নুরুদ্দিনকে দেখলে, সুকুমার রায়কে বোধহয় অন্য ভাবে ভাবতেই হত। বত্রিশ বার ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফেল করার পরও অদম্য ছিলেন হায়দরাবাদের এই প্রৌঢ়। শেষে পর্যন্ত তেত্রিশ বছরের তাঁর অধ্যাবসায় ফল দিল, পাশ করে গেলেন ম্যাট্রিকে।
হায়দরাবাদের নুরুদ্দিন সেই ১৯৮৭ সাল থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই যাত্রা যেন কোনও ভাবেই শেষ আর হচ্ছিল না। কিছুতেই পাশ করতে পারছিলেন না ম্যাট্রিক, প্রতিবারই ইংরেজির বাধা টপকানো সম্ভব হচ্ছিল না তাঁর পক্ষে। কিন্তু এবার তিনি তিনি নিজেকে ম্যাট্রিক পাশ বলতে পারেন। এত দিন মহম্মদ নুরুদ্দিন সরাসরি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কিন্তু এই বছরই তিনি ওপেন এগজামিনেশনে বসেন। এর জন্য তাঁকে তিন হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি-ও দিতে হয়। তবে সম্ভবত করোনাই তাঁর এই হার না মানা পণ শেষ পর্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখাল।
করোনার অতিমারির জেরে এ বছর দশম শ্রেণিরও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি তেলাঙ্গানায়। সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। আর গত ৩২ বছরে যা হয়নি এবার তা হয়ে গেল, পাশের তালিকায় নাম উঠে গেল ৫১ বছরে মহম্মদ নুরুদ্দিনেরও।
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে আকাশ চিরে বুর্জ খালিফায় ফুটে উঠল ইদের শুভেচ্ছা
করোনার কারণেই নুরুদ্দিন পাশ করে গেলেন কিনা সে প্রশ্ন থাকলেও, এত বছর ধরে যে তিনি চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন, তাঁর সেই লড়াইকে কুর্নিশ করেছেন নেটাগরিকরা। শেষ পর্যন্ত পাশ করতে পেরে তিনি বেজায় খুশি বলে জানিয়েছেন নুরুদ্দিন। আর এর জন্য তেলাঙ্গানার কেসিআর সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্যাস ব্যবহার করলে এমন বিপদ হতেই পারে, বুদ্ধি খাটিয়ে কী করলেন দেখুন পুলিশকর্মী
এমন বেশি বয়সে ম্যাট্রিক পাশ করার ইতিহাস আগেও তৈরি হয়েছে। ২০১৬ সালে ৭১ বছরের শিবচরণ যাদব নামে রাজস্থানের এক ব্যক্তি ৪৬ বার অকৃতকার্য হওয়ার পর শেষে ৪৭তম বারে দশম শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করেন।