— ফাইল চিত্র
পুলওয়ামার ধাঁচে ফের গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীদের তৎপরতায় সেই ছক বানচাল হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সকালে পুলওয়ামায় সেনা, আধাসেনা ও পুলিশের যৌথ তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি। তাতে মিলেছে ২০ কেজি বিস্ফোরক। যদিও ওই গাড়িটির চালক এখনও পলাতক।
সেনা সূত্রে খবর, উপত্যকায় ফের পুলওয়ামার মতো হামলা হতে পারে, এই তথ্য আগেই দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। এ দিন পুলওয়ামায় চেক পয়েন্টে তল্লাশি চলাকালীন ওই গাড়িটি ধরা পড়ে। গাড়ির কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। বিপদ আঁচ করে ব্যারিকেড ভেঙে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা করে চালক। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। গাড়িটি ধরা পড়ে যায়। কাশ্মীর পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) বিজয় কুমার বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালায়। কিন্তু কোনও ভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় গাড়ির চালক। তল্লাশিতে গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে আইইডি উদ্ধার হয়।” তিনি আরও বলছেন, ‘‘হামলা হতে পারে এ খবর আমাদের কাছে আগে থেকেই ছিল। আমরা গত কাল থেকেই ওই গাড়িটিকে খউঁজছিলাম।’’
উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল বিস্ফোরক এ দিন নিষ্ক্রিয় করে দেয় বাহিনী। তলব করা হয় বম্ব স্কোয়াডকে। বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার আগে আশপাশের বাসিন্দাদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়।
উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার ভিডিয়ো
গত দু’মাস ধরে কাশ্মীরে জঙ্গি হানার ঘটনা বেড়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপত্যকায় ঢুকছে জঙ্গিরা। তাই বাড়ছে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষের ঘটনাও। একাধিক গুলি বিনিময়ের ঘটনায় এই দু’মাসে সেনা অফিসার-সহ ৩০ জন নিরাপত্তা রক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৩৮ জন জঙ্গিও। মে মাসের প্রথম দিকে পুলওয়ামায় সেনা ও জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয় হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা রিয়াজ নাইকু।
আরও পড়ুন: তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত, মধ্যস্থতা করতে চেয়ে টুইট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হানা হয়। সিআরপিএফের কনভয়ে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ। তার জেরে ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। ভয়ঙ্কর সেই বিস্ফোরণের ধাঁচেই এ বারও ফের নাশকতা চালানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা।