—প্রতীকী ছবি।
বিদেশের মাটিতে ভারত-বিরোধী খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলির হুমকির মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রুখে দাঁডাতে শুরু করেছেন ভারতীয়দের একটি বড় অংশ। অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা কিংবা জার্মানিতে বসবাসকারী ভারতীয়রা এই প্রতিরোধের লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন।
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতে খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলি কয়েকটি দেশের মাটি থেকে ভারত-বিরোধী প্রচার এবং আন্দোলনের কর্মসূচি নিচ্ছে। সম্প্রতি কানাডায় ইন্দো-কানাডিয়ান ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশন, সেখানে বসবাসকারী পঞ্জাবি নাগরিকদের সহায়তায় খলিস্তানি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে। এই চাপের মধ্যেই কানাডার প্রশাসন গণভোট নিতে খলিস্থানী উদ্যোগে ছাড়পত্র দিতে রাজি হয়নি।
অস্ট্রেলিয়াতেও খলিস্তানি প্রচারের বিপরীতে রুখে দাঁড়াতে শুরু করে দিয়েছেন সেখানকার ভারতীয়রা। এই বিষয়ে অন্যতম ভূমিকা নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ) নামে একটি সংগঠন। এএইচএ-র উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ার অনেক ভারতীয় ব্যবসায়ীই খলিস্তানি সংগঠনের স্পনসর হওয়া থেকে সরে এসেছেন। সম্প্রতি খেলাধূলার একটি অনুষ্ঠানের মোড়কে খলিস্তানি সংগঠনগুলি প্রচারের কৌশল নেয়। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ওই অনুষ্ঠানের স্পনসর হতে রাজি হয়নি। ভারতীয় সংগঠনগুলির লাগাতার বিরোধিতার মধ্যে প্রশাসনও খলিস্তানিদের গণভোটের উদ্যোগে ছাড়পত্র দেয়নি। শেষপর্যন্ত ওই পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হয়েছে খলিস্তানি সংগঠনগুলিকেও। এছাড়া, খলিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষস্থানীয় নেতারা যাতে কানাডা, আমেরিকার মতো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে পারে, সংগঠনগুলির তরফে সরকারগুলির সামনে সেই ধরনের অনুরোধ আসতেই থাকে। এর বিরোধিতা করছে ভারতীয় সংগঠনগুলি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খলিস্তানি সংগঠনগুলি হিন্দু মন্দির ধ্বংস ও ভারতীয় নেতাদের মূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করলেও সেই সরকারগুলির তরফে পাল্টা পদক্ষেপ করতে অনীহা ছিল। তবে সম্প্রতি ব্রিটেন সরকার খলিস্তানি জঙ্গি কাজকর্ম আটকাতে ৯৫ হাজার পাউন্ড তহবিল গঠনের কথা ঘোষণা করেছে। জি২০ সম্মেলনের জন্য দিল্লি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকও জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রিটেনের মাটিকে খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলির কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। সংবাদ সংস্থা