কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিমানি। ছবি: টুইটার থেকে।
জনতার ভোটে জিতে দেশের সংসদে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেন সাংসদরা। তেমনই এক সাংসদের শরীর থেকে জামা টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে।
খাস রাজধানীর ঘটনা। অধিবেশন চললে দুপুর রোদে রাস্তায় থাকতেন না কংগ্রেসের মহিলা সাংসদ জ্যোতিমণি। সংসদের ভিতরে থাকতেন। হয়তো অংশ নিতেন বিতর্কে। তবে বুধবার অধিবেশন ছিল না। দিল্লির ইডির দফতরের সামনে নিজের দলের নেতা রাহুল গাঁধীকে ডেকে পাঠানোর প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলেন জ্যোতিমণি।
ইডি দফতরের বাইরে তখন কংগ্রেস সমর্থকদের বিক্ষোভ তীব্র হচ্ছে ক্রমশ। পুলিশ যথেচ্ছ লাঠি চালাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের উপর। সাংসদ জ্যোতি ভাবতেই পারেননি, পুলিশের তাঁর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করার সাহস হবে। সেই ভুল অবশ্য ভাঙতে দেরি হয়নি। ইডির দফতরের সামনে দিল্লি পুলিশ তাঁর সঙ্গে কী আচরণ করেছে, তা একটি ভিডিয়ো করে জানিয়েছেন জ্যোতি। তাতে দেখা যাচ্ছে, জ্যোতির কামিজের পিছন দিকের অর্ধেকটাই আর নেই। ছিঁড়ে গিয়েছে তাঁর সালোয়ারও। ছেঁড়া পোশাক পরে একটি বাসের ভিতরে বসে ভিডিয়ো করেছেন জ্যোতি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমাকে অপরাধীর মতো তুলে আনা হয়েছে। আটক করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে জল চাইছি পুলিশের কাছে এর এরা এক ফোঁটাও জল দেয়নি। উল্টে জল কিনতে গেলে বিক্রেতাদের চোখ রাঙিয়ে বিরত করেছে।’’
তামিলনাড়ুর কারুর লোকসভা কেন্দ্র লোকসভা ভোটে জয়ী জ্যোতি। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ শুধু তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহারই করেনি, সর্বসমক্ষে তাঁর পোশাক টেনে ছিঁড়ে দিয়েছে। জ্যোতি তাঁর এই অভিযোগের ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করে লোকসভার স্পিকারের কাছেই এই ঘটনার প্রতিকার চেয়েছেন। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও। শশী লিখেছেন, ‘দেশে যে গণতন্ত্রের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, তা এই ঘটনায় স্পষ্ট। এক জন মহিলা প্রতিবাদকারী, বিশেষ করে এক জন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে এই আচরণ করে নিজেদের আরও নীচে টেনে নামিয়েছে দিল্লি পুলিশ।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।